খুঁজুন
বুধবার, ১১ জুন, ২০২৫, ২৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

পপি

আমাকে খুন করতে খুনি ভাড়া করা হয়েছিল: চিত্রনায়িকা পপি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:৩৪ পূর্বাহ্ণ
আমাকে খুন করতে খুনি ভাড়া করা হয়েছিল: চিত্রনায়িকা পপি

পপি

অনেক দিন ধরে আড়ালে রয়েছেন ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভিন পপি। প্রথম দিকে পপির এ অনুপস্থিতিকে স্বাভাবিক মনে করেছিলেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।

কিন্তু সময় যতই এগোতে থাকে ততই তাকে ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। নায়িকার আড়ালে যাওয়ার রহস্য খুঁজতে বেরিয়ে আসে তার গোপন সংসার ও সন্তান জন্মের খবর। বিয়ে করে এখন পুরোদস্তুর সংসারী পপি। শোবিজে নেই তার কারও সঙ্গে যোগাযোগ। তবে সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন পৈতৃক জমি জবদখলের ইস্যুতে। ইতোমধ্যে তার বোন থানায় জিডি করেছেন নায়িকার নামে।

এ ঘটনায় আড়াল ভেঙে এলেন ক্যামেরার সামনে। দীর্ঘ ৩ বছর পর সামনে এসে পপি বললেন, তাকে নাকি খুন করতে খুনিও ভাড়া করেছিল তার পরিবার।

বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সামাজিকমাধ্যমে পপির একটি ভিডিও প্রকাশ হয়। ওই ভিডিওতে তার বিরুদ্ধে মা-ভাই-বোনের আনা সব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেন পপি।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছর সুনামের সঙ্গে চলচ্চিত্রে কাজ করেছি, মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। কিন্তু এই মুহূর্তে ক্যামেরার সামনে কথা বলছি একজন ব্যর্থ মানুষ হিসেবে। ব্যর্থ মানুষ বলছি এই কারণে, সবার মন জয় করতে পারলেও দীর্ঘ ২৮ বছর যাদের জন্য কাজ করেছি, এই হাতে যাদের লালন পালন করেছি তাদের কাছে আমি অযোগ্য একজন মানুষ। তাদের মনমতো চলতে পারিনি। সেজন্যই বলেছি আমি একজন ব্যর্থ মানুষ।

পপি বলেন, মানুষ তো সবসময় সবার কাছে ভালো হতে পারে না। আমি যখন ইনকাম করেছি দুহাতে দিতে পেরেছি তখন আমার পরিবারের কাছে অনেক প্রিয় একজন মানুষ ছিলাম। এখন তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী দিতে পারি না। তাই তাদের কাছে গলার কাঁটা, শত্রু এবং অপছন্দের মানুষ।

সাম্প্রতিক ইস্যুতে পপি বলেন, দুইদিন যাবত দেখলাম আমার পরিবার কতটা নিচে নামতে পারে। কত হিংস্র ব্যবহার করতে পারে। কত নোংরা শব্দ ব্যবহার করতে পারে। মিডিয়ার কাছ থেকে সবসময় আমি সহযোগিতা পেয়েছি। পরিবারের কয়েকটা মানুষের মিথ্যা কিছু কথাবার্তা, মিথ্যা অভিনয়-নাটক, মিথ্যা অভিযোগ বলার সাথে সাথে যে মানুষগুলো আমাকে সবচেয়ে বেশি সাপোর্ট করার কথা তারাই মানুষের কথা অনুযায়ী আমাকে ভুলভাবে বাংলাদেশের মানুষের কাছে উপস্থাপন করেছেন। এর থেকে দুঃখজনক কিছুই হতে পারে না। যাদের জন্য কাজ করেছি আজ তারা আমার না। এজন্যই আল্লাহ বলেন, কেয়ামতের মাঠে কেউ কাউকে চিনবে না।

মূল প্রসঙ্গের বিষয়ে পপি বলেন, আজ যে অভিযোগগুলো আমার মা-বোন করছে। শক্তভাবে আমি প্রতিবাদ করছি। এর পুরোটাই বানোয়াট। তাদের স্বার্থ উদ্ধার হয়নি বলে সত্য একটা জিনিসকে অসত্য বলে প্রমাণিত করার চেষ্টা করছে। আমি একজন শিল্পী, আমি কি ভূমিদস্যু? যাদেরকে এই দুই হাতে ছোটবেলা থেকে লালন পালন করেছি, জীবনের যে সময়টা উপভোগ করার সেই সময়টা তাদের জন্য ব্যয় করেছি। এটা আমার দায়িত্ব না, তারপরও ভাই বোনকে নিজের সন্তান হিসেবে লালন পালন করেছি। নিজের ভবিষ্যৎ, ভালো লাগা, মন্দ লাগা অনেক কিছুই বাদ দিয়েছি। শুধু আমার ভাই-বোনকে মানুষ করার জন্য। কিন্তু এখন এসে দেখলাম মানুষ হয়নি। হিংস্র পশুরও কৃতজ্ঞতা থাকে। এদের মধ্যে সেই কৃতজ্ঞতা নেই।

প্রশ্ন নিয়ে পপি বলেন, কাদের নামে অভিযোগ করব? অভিযোগ করে বাইরের মানুষের নামে। যেহেতু আমার ভাই-বোন, বাবা-মাকে অনেক ভালোবাসি। তাই তাদের প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। তাদের দ্বারা আমার জীবনে অনেক কিছু ফেস করেছি। নির্যাতিত, লাঞ্ছিত, অপমানিত হয়েছি।

যোগ করে পপি বলেন, আমি যে আয় করেছি তারা সব নিয়ে নিয়েছে। আমার সাথে বেইমানি করেছে। আমার টাকা দিয়ে কেনা সম্পত্তি আমার নামে ছিল না। আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট শূন্য ছিল। আমার দেহটা ছাড়া কোনো কিছুই আমার ছিল না। সবকিছু তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। আমিও তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিলাম। একটা পর্যায়ে এসে মানুষের জীবনে বেঁচে থাকার জন্য অবলম্বন লাগে। একটা সময় যখন জানতে পারলাম আমার পরিবার আমাকে ঠকিয়েছে। জানার পরও চুপ ছিলাম। তাদের দ্বারা অনেক নির্যাতিত হয়েছি। আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে। আমার টাকা চুরি করেছে। আমাকে খুন করতে খুনিকে টাকা দিয়ে ভাড়া করেছে। আমার আপন মা-ভাই-বোন জড়িত ছিল।

মায়ের ব্যাপারে তিক্ততা নিয়ে পপি বলেন, পৃথিবীতে সব মাই মা না। খারাপ মাও আছে। দুর্ভাগ্যবশত আমার মা হয়তো আমাকে সেই পরিমাণ ভালবাসতে পারেনি। আমার পরিবারের কাছে সবসময় সোনার ডিম পাড়া একটা হাঁসছিলাম, দুধ দেওয়া একটি গরু ছিলাম, টাকা ছাপানোর মেশিন ছিলাম। সন্তান হিসেবে কখনোই ভালোবাসাটা পাইনি। তারপরও কোনো অভিযোগ নেই, এখনও নেই।

পপি আরও বলেন, একটা মানুষ যখন মেশিন নিয়ে পরিণত হয় তখন তার মূল্য মেশিন হিসেবে থাকে। মানুষ হিসেবে থাকে না। আমার বাবা-মা আমার সঙ্গে অনেক বড় বিশ্বাসঘাতকা করেছে। আমার সব টাকা-পয়সা বোনের অ্যাকাউন্টে ছিল তারপরও কিছু বলিনি। ২০০৭ সালের ঘটনা বলছি। তখন জানতে পারলাম কোন কিছুই আমার নেই। তখন সিনেমার মুরুব্বীরা মিলে সবকিছু ঠিকঠাক করে দিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, পপি সবশেষে প্রকাশ্যে এসেছিলেন ২০২২ সালে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের সময়। সেসময় সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তারকে সমর্থন দিয়েছিলেন ওই ভিডিও বার্তায়।

নোয়াখালীতে প্রয়াত বিএনপি নেতার পরিবারের পাশে ব্যারিস্টার সায়েম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ১০:২০ অপরাহ্ণ
নোয়াখালীতে প্রয়াত বিএনপি নেতার পরিবারের পাশে ব্যারিস্টার সায়েম

নোয়াখালীতে প্রয়াত বিএনপি নেতার পরিবারের পাশে ব্যারিস্টার সায়েম

নোয়াখালী জেলা শ্রমিক দলের সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আবু নাছেরের (রাসেল) পরিবারের সাথে  আজসোমবার (০৯ জুন) দেখা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা বিএনপি মিডিয়া সেল সদস্য ব্যারিস্টার আবু সায়েম।

ব্যারিস্টার আবু সায়েম প্রয়াত রাসেলের নোয়াখালী কলেজ রোডের বাসায় যান। সেখানে মরহুমের কন‍্যা রাইসা, ভাই মো. রায়হান পরিবারের অন‍্যান‍্য সদস্যদের সাথে কথা বলেন তিনি। এসময় তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি সমবেদনাজানান তিনি।

এছাড়া ব্যারিস্টার সায়েম বলেন, নেতাকর্মীরা দলের প্রাণ। দুঃসময়ে বিএনপি তাদের পাশে থাকবে।

উল্লেখ‍্য, গত ১৬ মে ব্রেন স্ট্রোক করলে উচ্চতর চিকিৎসার জন‍্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয় রাসেলকে। সেখানে কর্তব্যরত‍ ডাক্তারতাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী এক কন‍্যাসন্তান রেখে যান রাসেল। তার বয়স ছিল ৪৪। রাসেলের পরিবারনোয়াখালী পৌরসভার নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তার বাবা মরহুম আব্দুল মালেক (বস মালেক)

৫৯ সদস্য নিয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ৯:৫৮ অপরাহ্ণ
৫৯ সদস্য নিয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি

মিজানুর রহমান সিনহাকে আহবায়ক মহিউদ্দিন আহম্মেদকে সদস্য সচিব করে মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির ৫৯ সদস্য বিশিষ্টপূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদিত হয়েছে।

শুক্রবার ( জুন) বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়েছে।

আহবায়ক কমিটির সদস্যরা হলেনশেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, মো. শহীদুল ইসলাম মৃধা, . বাতেন খান শামীম, সৈয়দসিদ্দিক উল্লাহ ফরিদ, রহিমা শিকদার, মো. আমির হোসেন দোলন, মো. আতোয়ার হোসেন বাবুল, কে এম ইরাদত মানু, মো. জসিম উদ্দিন, মো. শহীদুল ইসলাম, আতাউর রহমান মল্লিক, অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন, সাইদুর রহমান ফকির, হাবিবুররহমান অপু চাকলাদার, এম হায়দার আলী, এম হাফিজুল ইসলাম খান, শাহজাহান বেপারী, আলহাজ্ব মমিন আলী, আব্দুলকুদ্দুস ধিরন, এম শুভ আহমেদ, আব্দুস সালাম মোল্লা, ওমর ফারুক অবাক, সুলতান আহমেদ, আনোয়ার হোসেন ভুইয়া, দুলাল দাস, মাসেকুর রহমান দুলু মো. মজিবুর রহমান।

এছাড়াও কমিটির অন্য সদস্যরা হলেনআবু বাক্কার মাদবর, মো. ওবায়দুল রহমান বকুল, হাজী মো. রাশেদ, বোরহান উদ্দিনভুইয়া, জহিরুল ইসলাম লেলিন, মনিরুজ্জামান মনির, মো. ফারুক হোসেন মোড়ল, শেখ জামাল, মো. রফিকুল ইসলাম মাসুম(ভিপি), মো. ইসহাক আলী (চেয়ারম্যান), মেজর (অব.) মাসুদুর রহমান কাইয়ুম, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোশারফহোসেন পুস্তি, মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, মো. আবু সুফিয়ান কাজী বিপ্লব, মো. মাহবুবুর রহমান খান, আতাউর হাওলাদার, নুরে আলম ঢালী, মো. আহসান উল্ল্যাহ্, মো. শাহাদাৎ হোসেন সরকার, ঢালী মো. ওয়াহিদ, মুহাম্মদ মাসুদ ফারুক, শামীমহাবিব, আওলাদ হোসেন উজ্জল, অ্যাডভোকেট জসিম মোল্লা, তাজুল ইসলাম, সেলিনা আক্তার বিনা, পাপিয়া ইসলাম, মুকুলআক্তার অনা লাকী আক্তার।

এর আগে বৃহস্পতিবার ( জুন) সন্ধ্যায় পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে জেলায় বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি এক জেলায় বিএনপিরপূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে খায়রুল কবির খোকনকে সভাপতি মঞ্জুর এলাহীকে সাধারণ সম্পাদক করেনরসিংদীতে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শ্রীনগরে শিশুদের মাঝে ঈদের পোশাক বিতরণ করলেন সংগঠক জসিম মোল্লা

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ
শ্রীনগরে শিশুদের  মাঝে ঈদের পোশাক বিতরণ করলেন সংগঠক জসিম মোল্লা

শ্রীনগর উপজেলার দেউলভোগ স্বপ্নপূরী সিনেমা হলের সামনে বৃহস্পতিবার বিকাল ঘটিকায় ফ্রেন্ডস্ সমাজকল্যাণ সংসদেরপ্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং এপেক্স ক্লাব অব শ্রীনগর এর ফাউন্ডার সেক্রেটারী সংগঠক মোঃ জসিম মোল্লা কম আয়ের বেদে সম্প্রদায়ের শতাদিক বাচ্চাকে ঈদের শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে নতুন পোশাক বিতরণ করেন। বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিতথেকে সহযোগিতা করেন ফ্রেন্ডস সমাজকল্যাণ সংসদের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বাবু, রিমন হোসেন, সাইদুল ইসলাম হিরো, রাজিব খান, রুবেল খান, পরশ খান, লিংকন, রনি, মিঠু খানসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

বিতরণ কালে মোঃ জসিম মোল্লা বলেন আমার ঈদের আনন্দ ভাগ করে দিতে আমরা প্রতি উৎসবেই কম আয়ের মানুষকেনানাভাবে সহযোগিতা করে থাকি, গত ঈদে বালাশুর শিশু পরিবারসহ তিন শতাদিক মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর চেষ্টাকরেছি, তিনি আরো বলেন সমাজের বিত্তবান ব্যাকিরা যদি সমাজের মানুষের প্রতি তাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করেতাহলে সমাজ এগিয়ে যাবে।