পটুয়াখালীতে কাজে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে সরেজমিন পরিদর্শনে যাওয়ায় পটুয়াখালীর বাউফল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি, এশিয়ান টিভি ও দৈনিক দেশ রূপান্তরের বাউফল উপজেলা প্রতিনিধি মো. সিদ্দিকুর রহমানকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন পটুয়াখালী জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির সোহাগ।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে মুঠোফোনে তিনি ওই সাংবাদিককে হুমকি প্রধান করেন। তাদের কথোপকথনের একটি অডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই অডিওতে যুবদল নেতা সোহাগকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি জেলা যুবদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক। ১৭ বছর পর একটি কাজ পেয়েছি। আপনি কেন কাজের সাইডে গেছেন। কিসের জন্য জাবেন? অনিয়ম করলে অফিস দেখবে আপনি কেন জাবেন। আপনি কি সিভিল ইজ্ঞিনিয়ার? সাংবাদিকদের কাজ কি সাইডে। সাইডে খোট খাইতে যাও? আমি আসতেছি তুই ওখানে থাক। খোট খাওয়াইতে আছি তুই থাক। তুই অফিসে যোগাযোগ কর। তুই সাংবাদিক অন্য কাজ কর। সাইডে গেলে তোকে কিরতে হবে সেটা দেখাইতেছি। অচ্ছা তুই থাক আমি বাউফল আসতেছি তুই থাক। তোকে দেখব।’
এছাড়াও অকথ্য ভাষায় ওই সাংবাদিককে গালমন্দ করেন তিনি।
এ ঘটনায় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গনমাধ্যম কর্মীগন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একজন ঠকাদার কিভাবে দলের পরিচয় ভাঙ্গিয়ে সাংবাদিকের সাথে এহেন খারাপ আচরণ করতে পারেন? কাজের সঠিক পরিবেশ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা। বিষয়টিকে বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতাদের গুরুত্বসহকারে দেখার অনুরোধ জানান তারা।
সাংবাদিক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে ঠিকাদার সোহাগ নামের পটুয়াখালী ভিত্তিক ঠিকাদারকে ফোন করলে তিনি ওই হুমকি দেন।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন বলেন, সাংবাদিকরা হচ্ছে সমাজের দর্পণ। তারা সমাজের বিভিন্ন অসংঙ্গতি তুলে ধরবেন। তাদের পেশাগত কাজে কেউ বাধা দেওয়া কিংবা হুমকি দেওয়ার বিষয় যুবদল সমর্থন করে না। এমন ঘটনা ঘটে থাকলে সেটা দুঃখজনক।
বাউফল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, বিষয়টি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। আমি দেখেছি। এখনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন