খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০২৫, ১৭ আশ্বিন, ১৪৩২

তথ্য উপদেষ্টা

মির্জা ফখরুলের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আরেকটা ওয়ান ইলেভেনের ইঙ্গিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩:২৮ পূর্বাহ্ণ
মির্জা ফখরুলের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আরেকটা ওয়ান ইলেভেনের ইঙ্গিত

তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

মির্জা ফখরুলের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আরেকটা ওয়ান ইলেভেনের ইঙ্গিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ভেরিফায়েড ফেসবুক থেকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটা ১/১১ সরকার গঠনের ইঙ্গিত বহন করে। ১/১১-এর বন্দোবস্ত থেকেই আওয়ামী ফ্যাসিজমের উত্থান ঘটেছিল। বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যে সামনে আরেকটা ১/১১ সরকার, সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ধারাবাহিকতা এবং গুম-খুন ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ার আলামত রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্র এবং অভ্যুত্থানের নেতৃত্বকে মাইনাস করার পরিকল্পনা ৫ অগাস্ট থেকেই শুরু হয়েছে। ৫ আগস্ট যখন ছাত্র-জনতা রাজপথে লড়াই করছে, পুলিশের গুলি অব্যাহত রয়েছ, তখন আমাদের আপসকামী অনেক জাতীয় নেতৃবৃন্দ ক্যান্টনমেন্টে জনগণকে বাদ দিয়ে নতুন সরকার করার পরিকল্পনায় ব্যস্ত ছিলেন (অনেকে ছাত্রদের কথাও বলেছেন সেখানে)।’

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ৩ অগাস্ট থেকে বলে আসছি আমরা কোনো প্রকারের সেনাশাসন বা জরুরি অবস্থা মেনে নেব না। আমাদেরকে বারবার ক্যান্টেন্টমেন্টে যেতে বলা হলেও আমরা যেতে অস্বীকার করি। শেষ পর্যন্ত বঙ্গভবনে আলোচনা ও বার্গেনিংয়ের মাধ্যমে ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।’

বিএনপি জাতীয় সরকারে রাজি হয়নি জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ও নাগরিক সমাজের সমন্বয়ে একটা জাতীয় সরকার। জাতীয় সরকার হলে ছাত্রদের হয়তো সরকারে আসার প্রয়োজন হতো না। জাতীয় সরকার অনেকদিন স্থায়ী হবে, এই বিবেচনায় বিএনপি জাতীয় সরকারে রাজি হয় নাই।’

 

‘কিন্তু অভ্যুত্থানের পরেই দেশে জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি ছিল। অথচ বিএনপি জাতীয় সরকারের কথা বলছে সামনের নির্বাচনের পরে।’

এই উপদেষ্টা বলেন, ‘ছাত্ররাই এই সরকারের এবং বিদ্যমান বাস্তবতার একমাত্র ফ্যাক্টর যেটা ১/১১-এর সরকার থেকে বর্তমান সরকারকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা করে। বিএনপি কয়েকদিন আগে মাইনাস টু-এর আলোচনা করলেও এখন ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম করার জন্য নিরপেক্ষ সরকারের নামে আরেকটি ১/১১ সরকারের প্রস্তাবনা করছে।’

‘এ ধরনের পরিকল্পনা গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে এবং ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই এটা মেনে নেবে না। এবং আমি মনে করি এটা বিএনপির বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র।’

সরকারের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত নানান স্তরে বিএনপিপন্থী লোক রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আর এই সরকার জাতীয় সরকার না হলেও সরকারে আন্দোলনের সব পক্ষেরই অংশীদারত্ব রয়েছে এবং সব পক্ষই নানান সুবিধা ভোগ করছে। সরকার গঠনের আগেই ৬ আগস্ট অ্যাটর্নি জেনারেল এবং পুলিশের আগের আইজির নিয়োগ হয়েছিল, যারা মূলত বিএনপির লোক। এরকমভাবে সরকারের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত নানান স্তরে বিএনপিপন্থী লোকজন রয়েছে। নির্বাচনের নিরপেক্ষতার কথা বললে এই বাস্তবতায়ও মাথায় রাখতে হবে।’

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির পরিবর্তন, সংস্কার, নতুন সংবিধান, জুলাই ঘোষণা সব ইস্যুতেই বিএনপি বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। অথচ এগুলো কোনোটাই ছাত্রদের দলীয় কোনো দাবি ছিল না। কিন্তু দেশের স্থিতিশীলতা, বৃহত্তর স্বার্থ ও জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার জন্য ছাত্ররা বারবার তাদের অবস্থান থেকে সরে এসেছে।

কিন্তু এর মানে এই না যে গণতন্ত্রবিরোধী ও অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাবিরোধী কোনো পরিকল্পনা হলে সেখানে আমরা বিন্দু পরিমান ছাড় দেব।’

আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিষয়ে ভারতের প্রধান দলগুলোর মধ্যে ঐক্য সম্ভব হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বিষয়ে আমরা ঐক্য করতে পারি নাই, এত হত্যা ও অপরাধের পরেও। হায় এই ‘জাতীয় ঐক্য’ লইয়া আমরা কী রাষ্ট্র বানাবো!’

‘বাংলাদেশকে দুর্বল করা সহজ, কারণ বাংলাদেশকে সহজেই বিভাজিত করা যায়। এ দেশের বড় বড় লোকেরা অল্পমূল্যে বিক্রি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে।’

বিএনপির দেশপ্রেমিক ও ত্যাগীদের আহ্বান জানিয়ে তরুণ এই উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি মনে করি না সমগ্র বিএনপি এই অবস্থান গ্রহণ করে। বরং বিএনপির কর্মী সমর্থকদের বড় অংশই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন চায়। বিএনপির দেশপ্রেমিক ও ত্যাগী নেতৃত্বকে আহ্বান করব, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে না গিয়ে ছাত্র-জনতার সাথে বৃহত্তর ঐক্য ও সংহতির পথ বেছে নেন।’

দূর্গা পূজা উপলক্ষে শ্রীনগরে মন্দির পরিদর্শনে র‍্যাব-১০ এর অধিনায়ক

আসাদুজ্জামান জীনব
প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:১১ অপরাহ্ণ
দূর্গা পূজা উপলক্ষে শ্রীনগরে মন্দির পরিদর্শনে র‍্যাব-১০ এর অধিনায়ক

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় দূর্গা পূজা উপলক্ষে পূজা মণ্ডপ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছেন র‍্যাব১০ এরঅধিনায়ক (সিও) মোঃ কামরুজ্জামান।

রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিনি প্রথমে উপজেলার প্রাচীন ভাগ্যকুল হরেন্দ্র লাল রায় মন্দির পরিদর্শন করেন। সময়সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র‍্যাব১০ এর অধিনায়ক জানান, র‍্যাব১০ এর আওতায় প্রায় ৩৪টি থানা রয়েছে। এর মধ্যেঢাকেশ্বরী মন্দিরসহ বেশ কয়েকটি বড় পূজামণ্ডপ রয়েছে, যেগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুই থেকে তিন ধাপে জোরদার করাহয়েছে।

তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র পোশাকধারী র‍্যাব সদস্য নয়, সিভিল ড্রেসেও সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এখন পর্যন্তকোনো হুমকি বা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‍্যাব সর্বদা প্রস্তুতরয়েছে।

প্রাচীন এই মন্দির পরিদর্শন শেষে তিনি ভাগ্যকুল ঘোষবাড়ি মন্দির, নতুন বাজার যদুনাথ রায় মন্দিরসহ এলাকার আরওকয়েকটি পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখবেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে র‍্যাব১০ এর সিপিসি এর ভাগ্যকুল ক্যাম্প কমান্ডার মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, বর্তমানে ক্যাম্প এলাকায়চারটি টহল টিম কাজ করছে। পাশাপাশি পোশাকধারী সদস্যদের সঙ্গে সিভিল সদস্যরাও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।

শ্রীনগরে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

জিদান আহমেদ, শ্রীনগর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:৪২ অপরাহ্ণ
শ্রীনগরে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

শ্রীনগর উপজেলা  বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে  মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বাইপাস খান বাড়ির মাঠে এ মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাফিজুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মুন্সিগঞ্জ ১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। এ সময় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল বাতেন খান শামিম, শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম কানন, উপজেলা বিএনপি সহ-সভাপতি আশরাফ হোসেন মিলন, যুগ্ন সম্পাদক জহুরুল ইসলাম মামুন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন জেমস,সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ মামুন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ফয়সাল আহমেদ রনি, সদস্য সচিব এমদাদুল ইসলাম রজিন, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম শুভ, উপজেলা জাসাস এর সভাপতি শফিউল আলম আজম প্রমুখ।

শ্রীনগরের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চারজনকে কুপিয়ে আহত

শ্রীনগর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:৪০ অপরাহ্ণ
শ্রীনগরের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে  চারজনকে কুপিয়ে আহত

মুন্সীগঞ্জ জেলার  শ্রীনগরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের  জেরে এক নারীসহ চারজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহতকরেছে প্রতিপক্ষ। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের পূর্ব মুন্সীয়া গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটে।আহতদেরউদ্ধার করে স্থানীয়রা শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ নুর ইসলাম খান(৩৩) আল মাহমুদ (২৩) নামে দুই ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে। ভুক্তভোগী শাহজালাল খান বাদী হয়ে কুকুটিয়াইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন আলমকে প্রধান আসামি করে আটজনের বিরুদ্ধে শ্রীনগর থানায়একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বাদী শাহজালাল খানের পরিবারের সঙ্গে প্রতিপক্ষের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন আলমের নির্দেশে নুর ইসলামখান, মানিক খান, আল মাহমুদ, ওমর ফারুক বাবু, ডলার শেখসহ ১২/১৫ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শাহজালালের বাড়িতেহামলা চালায়। সময় হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার পরিবারে নারীসহ চারজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহতকরে। সময় এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহত  আজিজুল (২৪), আরাফাত (১৯), মিমআক্তার (১৫) পারভেজ (২৫) কে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। এই বিষয়ে অভিযুক্ত কুকুটিয়াইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সকলঅভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ষড়যন্ত্র করছে। শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. নাজমুল হুদা খান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করে থানায় নিয়েআসে। তিনি আরও বলেন, “ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।