খুঁজুন
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭ বৈশাখ, ১৪৩২

শ্রীনগরে কাজী দিলীপ স্মৃতি মিনিবার ফুটবল টুনামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ ও পুরস্কার বিতরণী

এমএ কাইয়ুম মাইজভাণ্ডারী
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৪০ অপরাহ্ণ
শ্রীনগরে কাজী দিলীপ স্মৃতি মিনিবার ফুটবল টুনামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ ও পুরস্কার বিতরণী

খেলা ধুলায় বাড়ে বল মাদক ছেড়ে মাঠে চল এই স্লোগানকে সামনে রেখে

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ৬ষ্ঠ তম কাজী দিলীপ স্মৃতি মিনিবার ফুটবল টুনামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার বিকেল ৪টায় উপজেলার ভাগ্যকুল হরেন্দ্রলাল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে দিলীপ স্মৃতি সংসদের আয়োজনে ফাইনাল ম্যাচ পুরস্কার বিতরণী  অনুষ্ঠিত হয়।

ভাগ্যকুল হরেন্দ্রলাল স্কুল এন্ড কলেজ এডহক কমিটির সভাপতি কাজী আলী আজম জুয়েলের সভাপতিত্বে সিনিয়র শিক্ষক মাসুম মোল্লাএবং ক্রীড়া সংগঠক রাজু মোড়লের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্যকাজী আলী আক্কাস নাদিম।

উদ্ধোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ বাবুল মিয়া।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বেসরকারী বিমান চলাচল পর্যটন মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব এসএম লাভলুর রহমান, জনতা ব্যাংক পিএলসি উপমহা ব্যবস্থাপক মোঃ সিরাজুল ইসলাম।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,ক্রীড়া সংগঠক কাজী আরিফুজ্জামান,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজ সেবক শফিকুল ইসলাম শিপন,

ভাগ্যকুল হরেন্দ্রলাল স্কুল এন্ড কলেজ এডহক কমিটির সদস্য শফিকুল হায়দার মাসুদ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, এসএম মোস্তফা কামাল,মোস্তাফিজুর রহমান পপ,মিজানুর রহমান খান,আরশাদ আলী,সরদার ইমদাদুল হকমিলন,সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার,সেলিনা আক্তার বীনা,মিরাজ হোসেন তানিন,প্রিন্স বেপারী,দেলোয়ার হোসেন খান,স্বপন খান,সুমনখান,জমির শিকদার,আলাউদ্দিন গাজী, এমরান শেখ সাগর,দিদার বেপারী,রাজিব মাহমুদসহ অনেকেই।

ভাগ্যকুল মান্দ্রা শান্তি সংঘ ভাগ্যকুল স্কোয়াডের মধ্যকারের ফুটবল ফাইনাল ম্যাচে ভাগ্যকুল স্কোয়াড ০১ গোলে বিজয়ী হয়।

মুন্সিগঞ্জে পরকীয়ার জেরে স্বামী হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ১

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:১৯ অপরাহ্ণ
মুন্সিগঞ্জে পরকীয়ার জেরে স্বামী হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ১

মুন্সীগঞ্জ মুক্তারপরে পরকিয়ার জেরে স্বামী হত্যা মামলার একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব১১ এর একটি টিম। রোববার (২০এপ্রিল) ভোর ৪টার সময় জাহিদুল হত্যা মামলার আসামী ইমন (২৫) কে গ্রেফতার করে। গেস্খফতারকৃত আসামী সদর উপজেলারআদারিয়াতলার মস্তিবাড়ির আলী হোসেনের পুত্র।

র‌্যাব১১ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, ১৪ অক্টোবর ২০২৪ মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন মুক্তারপুর এলাকায় স্ত্রীর পরকীয়ার জেরেস্বামী হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহতের বোন খাদিজা বাদী হয়ে সদর থানায় ১৯ এপ্রিল হত্যা মামলা দায়ের করে। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পরেগোপন তথ্যের ভিত্তিতে হত্যা মামলার আসামী ইমন (২৫) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র‌্যাব১১। গ্রেফতারকৃত আসামীকে আইনানুগব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঘঁনার বিবরণে জানা যায়, প্রায় ১০/১১ বছর পূর্বে ভিকটিমের স্ত্রীর সাথে আসামী এমদাদুল (৪৫) এর সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে নুপুর(৩২) ভিকটিম তার স্ত্রীকে উক্ত আসামীর সাথে হাতেনাতে অশালিন অবস্থায় ধরে ফেলে। পরবর্তীতে নিহত জাহিদুলের কন্যার সাথেঅবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এমদাদুল। এতে অন্তঃস্বত্তা হলে গোপনে  ভিকটিমের স্ত্রী স্বামীকে না জানিয়ে তার মেয়ের গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করেফেলে। পরে দুজনের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পরবর্তীতে আবার দ্বিতীয় বিবাহের মাধ্যমে সংসার শুরু করেন তারা। কিন্তু পরকীয়া ছাড়তেপারেনি নুপুর। হত্যা মামলার আসামী আল আমিন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জাহিদুল মোল্লাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মুক্তারপুর সিএনজিস্ট্যান্ডের পিছনে ডেকে আনেন। স্ত্রী প্রেমিকের পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী জাহিদুল মোল্লাকে এলোপাথারী মারধর করে লাঠি দিয়ে পিটিয়েহত্যা করে। পরে অপরাধ গোপন করার জন্য নিহতের লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে মিশুকে করে দশকানি বড় মসজিদের কাছে জাহিদুলের লাশরাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায়।

স্থানীয় লোকজন নিহতের লাশ পরে থাকতে দেখে বাসায় খবর দিলে প্রধান আসামী নিহতের স্ত্রী নুপুর (৩২) ঘঁনাস্থলে এসে মুন্সীগঞ্জজেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসে। মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত তখনকার ডাক্তার পূর্বেই নিহত হয়েছেবলে ঘোষণা দেয়।

উল্লেখ্য: নিহত ভিকটিম বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার Íতর চাঁদত্রিশিরা গ্রামের মৃত শহিদ মোল্লার ছেলে জাহিদুল মোল্লা (৪০) এর সাথে প্রায় ১৭ বৎসর পূর্বে হত্যা মামলার প্রধান আসামী নুপুর (৩২) এর বিবাহ হয়। বিবাহিত জীবনে ভিকটিমের এক মেয়ে সামিয়া (১৬) আহাদ (১১) নামের এক ছেলে রয়েছে।

তিস্তা প্রকল্পে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, আগে সম্ভাব্যতা যাচাই: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৫৪ অপরাহ্ণ
তিস্তা প্রকল্পে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, আগে সম্ভাব্যতা যাচাই: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা প্রকল্প নিয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, তিস্তা বিষয়ে আমাদের একটি নীতিগত অবস্থান রয়েছে।

চীনও নীতিগতভাবে এই প্রকল্পে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে বাস্তবায়নের আগে এর সম্ভাব্যতা যাচাই (ফিজিবিলিটি স্টাডি) করা হবে।
রোববার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই নদীতে যে পানি আসে, তা ভারতের সহযোগিতা ছাড়া কতটুকু পাওয়া যাবে, এবং সেই পানির সর্বোচ্চ ব্যবহার কীভাবে নিশ্চিত করা যায়—এটা এখনো বিস্তারিতভাবে পরিকল্পিত হয়নি। জলাধার নির্মাণ করে পানির সংরক্ষণ সম্ভব কিনা, সে বিষয়েও আরও বিশদ পরিকল্পনা প্রয়োজন।

চীনের প্রাথমিক নকশার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে চীন একটি প্রাথমিক ধারণাপত্র দিয়েছিল, তবে সেটি প্রকল্প নয়। আমরা এখনো কেবল নীতিগত আলোচনার পর্যায়ে আছি। প্রকল্প গ্রহণের আগে সম্ভাব্যতা যাচাই জরুরি।

এদিন বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘বে টার্মিনাল’ উন্নয়ন প্রকল্পের একটি অংশ অনুমোদন দেওয়া হয়। এটি একটি মেগা প্রকল্প, যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ৫২৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক দিচ্ছে ৯ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা এবং বাকি ৪ হাজার ১৯২ কোটি টাকা সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে।

উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর প্রকৃতপক্ষে নদীবন্দর। অথচ আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারায় একটি পূর্ণাঙ্গ সমুদ্রবন্দরের প্রয়োজন রয়েছে। সে লক্ষ্যেই বে টার্মিনাল উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আজ একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে এবং আরও একটি প্রকল্প নেওয়া হবে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায়। সব মিলিয়ে এখানে চারটি টার্মিনাল গড়ে তোলা হবে। প্রকল্পটি যাতে দ্রুত শেষ হয় সেজন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি যেভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে, ভবিষ্যতে ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটবে। সে অনুযায়ী একটি বড় সমুদ্রবন্দর কেবল আমাদের জাতীয় চাহিদাই পূরণ করবে না, বরং এটি একটি আঞ্চলিক বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করবে, যা রাজস্ব বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। ”

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে ড. মাহমুদ বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় উপকারভোগী নির্বাচন করায় প্রায় ৫০ শতাংশ প্রকৃতভাবে ভাতার উপযুক্ত নয়। দীর্ঘদিন ধরে এ কর্মসূচিতে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করা হচ্ছে, যার ফলে প্রকৃত সুবিধাভোগীরা অনেক সময় বঞ্চিত হচ্ছেন।

বিদেশি ঋণভিত্তিক প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগ নিয়ে তিনি বলেন, বড় ধরনের বিদেশি ঋণ নিতে হলে সাধারণত পরামর্শকের শর্ত আরোপ করা হয়। উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহজ শর্তে ঋণ পেতে হলে বিদেশি পরামর্শকের মতামত গ্রহণ করতেই হয়।

ঢাকায় ‘ঝটিকা’ মিছিল করা যুবলীগ-নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৫২ অপরাহ্ণ
ঢাকায় ‘ঝটিকা’ মিছিল করা যুবলীগ-নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও শাহবাগে ‘ঝটিকা’ মিছিলে অংশগ্রহণকারী নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (২০ এপ্রিল) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃত সদস্যরা হলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. হারুনুর রশিদ (৫৫), ছাত্রলীগের যাত্রাবাড়ী থানার ৫০ নাম্বার ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহিদুর ইসলাম, ছাত্রলীগ কর্মী মো. জনি (২৮) ছাত্রলীগ কর্মী মো. বিল্লাল (২৩) ও যুবলীগ কর্মী মো. করিম (৪০)।

যাত্রাবাড়ী থানা সূত্রে জানা, যায়, আজ সকাল আনুমানিক ৬টা ৪০ মিনিটে যাত্রাবাড়ী থানাধীন ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে রোডের মৃধা বাড়ি এলাকায় আওয়ামী লীগের ১৬/১৭ জন সদস্য একটি ‘ঝটিকা’ মিছিল বের করলে পুলিশের টহল টিম তাদের ধাওয়া করে। সেখান থেকে হারুনুর রশিদ ও জাহিদুর ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারী অন্যরা দ্রুত দৌড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় মিছিলটি মাত্র এক থেকে দেড় মিনিট স্থায়ী হয়। অন্যদিকে শাহবাগ থানা সূত্রে জানা যায় আজ ভোর ৬টার দিকে শাহবাগ মোড়ে ২০/৩০ জন আওয়ামী লীগের সদস্য ‘ঝটিকা’ মিছিল করার চেষ্টা করে। থানার টহল টিম তাদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে জনি, বিল্লাল ও করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা আইন-শৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। তারা নানাভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ‘ঝটিকা’ মিছিলে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।