খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ, ১৪৩২

পদ্মাসেতু উত্তরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ উভয় পক্ষের দায় অস্বীকার।

এমএ কাইয়ুম মাইজভাণ্ডারী
প্রকাশিত: রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:২৯ অপরাহ্ণ
পদ্মাসেতু উত্তরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ উভয় পক্ষের দায় অস্বীকার।

মুন্সিগঞ্জের পদ্মাসেতু উত্তরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনার দায় অস্বীকার করেছে উভয় পক্ষ।

গতকাল শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পদ্মাসেতু উত্তর থানার মেদেনীমন্ডল ইউনিয়নের কান্দিপাড়া দর্জিবাড়ি মাঠে আওলাদ খান গং ও আল-আমীন খান গং-এর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ উঠেছে।

সংঘর্ষ চলাকালে প্রায় ৮ থেকে ১০ রাউন্ড গুলির শব্দ ও বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
তবে, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত কিংবা গুরুতর আহতের খবর পাওয়া যায়নি। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ ও কোস্টগার্ড।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২ রাউন্ড ও কোস্টগার্ড ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে।
এলাকাবাসীরা জানান, রাতের অন্ধকারে হঠাৎ করে গুলির শব্দ ও হইচই শুরু হয়। এতে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
একাধিক ব্যক্তি জানান, আওলাদ হোসেন খান ও আল-আমিন খান গং-এর মধ্যে পুরনো শত্রুতার জের ধরেই এ সংঘর্ষ ঘটে।

এ বিষয়ে শ্রমিক দল নেতা মোঃ আওলাদ হোসেন খান বলেন, “আল-আমিন খান তার লোকজন নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায় ও প্রতিবেশী একটি বাড়িতে ভাঙচুর করে। তারা ৪০-৫০ জনের একটি দল ছিল এবং তাদের কাছে বন্দুক ছিল, যার দ্বারা গুলি চালানো হয়। তারা এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং চাঁদাবাজির সাথে জড়িত।

অপরদিকে,যুবদল নেতা মোঃ আল-আমিন খান বলেন, আমার আওলাদ হোসেনের সাথে ব্যক্তিগত কোনো শত্রুতা নেই। ঘটনার শুরু হয় ছাত্রদল ও যুবলীগ কর্মীদের হাতাহাতি থেকে। পরে দর্জিবাড়ি মসজিদে এশার নামাজ চলাকালে আওলাদ গং-এর সহযোগিতায় কিছু অস্ত্রধারী যুবলীগ কর্মী গুলি চালায় ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।”
তিনি আরও বলেন, “এতে মসজিদের মুসল্লি এবং সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে আমাদের কিছু সমর্থক প্রতিপক্ষের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়।”
এ ঘটনার পর পুরো এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
পদ্মা সেতু উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকির হোসেন জানান, তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমন সংঘর্ষ ঘটে। এ নিয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শ্রীনগর বিএনপি’র বিজয় রেলি

শ্রীনগর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ৯:৫৬ অপরাহ্ণ
শ্রীনগর বিএনপি’র বিজয় রেলি

জুলাই আগস্ট ২৪ ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ  সরকারের পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগরে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের  উদ্যোগে বিশাল একটি রেলি বের হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে শ্রীনগর কলেজ গেট এলাকা থেকে মুন্সিগঞ্জ ১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী  উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  আলহাজ্ব মমিন আলী নেতৃত্বে রেলিটি বের হয়ে ছনবাড়ি চৌরাস্তা এসে শেষ হয়। রেলিত অংশগ্রহণ করেন, মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সিরাজদিখান  উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক  মোঃ জসিম উদ্দিন, মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক  মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন মোল্লা, সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বান কমিটির
সদস্য সচিব আলী আনসার মোল্লা, শ্রীনগর উপজেলা বিএনপি সাবেক সহ-সভাপতি আমির আলি মৃধা, কফিল বেপারী, মনসুর মাঝি, শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতিন, মনিরুল আলম, আবুল হোসেন তালুকদার, শেখ মোঃ জনি প্রমুখ।

শ্রীনগরে পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষিত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসি ইউনিটে ভর্তি

শ্রীনগর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১২:৩০ পূর্বাহ্ণ
শ্রীনগরে পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষিত  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসি ইউনিটে ভর্তি
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে চকলেট খাওয়ানো লোভ দেখিয়ে পাঁচ বছর এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করেছে আলাল(১৮) নামক এক বখাটে। শিশুটি বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।  বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শ্রীনগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিশুটির মা। মামলায় ফৈনপুর এলাকার ফজল খানের পুত্র বখাটে আলালকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাজমুল হুদা খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আসামি পলাতক থাকায় তাকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে পাটাভোগ ইউনিয়নের ফৈনপুর এলাকায় অন্যান্য দিনের মত শিশু কন্যাকে নিয়ে তার মা বাসাবাড়িতে কাজ করতে যান।  এসময় মেয়েটিকে চকোলেট ও মোবাইলে গেমস খেলার লোভ দেখিয়ে স্থানীয় আলাল পাশের বাড়ির নির্জন একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটির মা কান্নার শব্দ শুনে নির্জন ওই ঘরে গেলে ধর্ষক আলাল শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেসে নিয়ে গেলে,কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য  ঢাকা মিটফোর্ড স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় শিশুটিকে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জে কারাবন্দি অবস্থায় অসুস্থ আ.লীগ নেতা, হাসপাতালে মৃত্যু

আমার বাংলা অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ৩:০২ অপরাহ্ণ
মুন্সীগঞ্জে কারাবন্দি অবস্থায় অসুস্থ আ.লীগ নেতা, হাসপাতালে মৃত্যু

মুন্সীগঞ্জে কারাবন্দি অবস্থায় অসুস্থ হওয়া পর সারোয়ার হোসেন নান্নু (৬৫) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা ও হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার ভোর ৪টার দিকে কারাগার থেকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আতাউর গনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নান্নু সদর উপজেলার মিরেশ্বরাই এলাকার রাজ্জাক মোল্লার ছেলে ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গত বছরের ৪ আগস্টে মুন্সীগঞ্জে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় একটি হত্যা মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন।

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, মুমূর্ষু অবস্থায় ওই রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। প্রাথমিকভাবে রোগীর উপসর্গ দেখে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে অনুমান করা গেছে। মরদেহ মর্গে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এদিকে পরিবারের দাবি, নান্নু রাতে অসুস্থ হলেও কারা কর্তৃপক্ষ তাদের জানায়নি। বরং সকালে মৃত্যুর পর তাদের জানানো হয়েছে।

নান্নু ভাতিজা শাহরিয়ার জানান, যেহেতু মৃত্যুর অনেক পরে জানানো হয়েছে, তাই সঠিক কোথায় কীভাবে মারা গেছে; তা নিয়ে সন্দিহান আমরা। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে স্বজনরা।

মুন্সীগঞ্জ কারাগারের জেলসুপার মুহাম্মদ এনায়েত উল্ল্যাহ জানান, বুকের ব্যথার কারণে আজ রোববার ভোর রাত সাড়ে ৩ টায় জেলখানা থেকে হাসাপাতালে নিলে ৪ টার দিকে তিনি মারা যান। অসুস্থের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারকে জানানো সম্ভব হয়নি। কারণ, তখন তার চিকিৎসার জন্যই সবাই ব্যস্ত ছিল।