খুঁজুন
শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

আছিয়া

মাগুরার সেই শিশু আছিয়া আর নেই

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১:০২ পূর্বাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশু আছিয়া আর নেই

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছর বয়সী শিশুটি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির  হয়।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে।  হাসপাতালের শিশু বিভাগের শিশুরোগের চিকিৎসাসংক্রান্ত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) চিকিৎসা চলছিল শিশুটির। এর আগে বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারবার ও বৃহস্পতিবার আরও দু‘বার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ (আকস্মিকভাবে হৃৎস্পন্দন বন্ধ) হয় শিশুটির।  আট বছরের শিশুটি ৫ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়।

শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল।

ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে চারজনের নামে মামলা করেন। ধর্ষণের অভিযোগে শিশুটির ভগ্নিপতি সজিব (১৮), সজীবের ভাই রাতুল (১৭), তাদের বাবা হিটু মিয়া (৪২) ও মা জাবেদা বেগমকে (৪০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেনাবাহিনীর শোক: ধর্ষণের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শোক প্রকাশ এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছে। আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে। যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে সেনাবাহিনী।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে। সিএমএইচ এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃদস্পন্দন ফিরে আসেনি।

৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়। শিশুটির চিকিৎসায় সিএমএইচের প্রধান সার্জনকে প্রধান করে আটজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। বোর্ডে ছিলেন সার্জিক্যাল বিশেষজ্ঞ, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ, প্লাস্টিক সার্জন, শিশু নিউরোলজি বিভাগ, অ্যানেসথেসিয়া, শিশু হৃদ্রোগ বিভাগ, শিশু বিভাগের সার্জন, ইউরোলজি বিভাগ, থোরাসিক সার্জন বিভাগের চিকিৎসকেরা।

ধর্ষণের ঘটনার ব্যাপারে শিশুটির বড় বোন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘বুধবার রাতে আমার স্বামী ও ছোট বোনকে নিয়ে একই কক্ষে ঘুমাই। সেহরি খাওয়ার আগে ঘুম থেকে উঠে দেখি, ছোট বোন মেঝেতে কাঁপছে আর কাঁদছে। আমি ভেবেছি, শীতের কারণে কাঁপছে। আর সেও তখন ভয়ে কিছু বলেনি। পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে ছোট বোন ঘটনার বিস্তারিত আমাকে জানায়।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘রাতে আমার শ্বশুর তাকে (ছোট বোন) ঘুম থেকে তুলে অন্য কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে এবং ভয়ভীতি দেখায়। আমার স্বামীই দরজা খুলে দেয়। শাশুড়িও ঘটনা জানে। ঘটনা বলে দেওয়ার কথা বলায় তাকে (শিশুকে) মারধরও করে।

পরে তাকে আমার কক্ষে দিয়ে যায়।’ শিশুটির বোন বলেন, ‘সকালে আমার স্বামী ও শাশুড়িকে ঘটনা বললে তারা বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বলেন। আমাকে মারধরও করেন। এতে আশপাশের লোকজন জানতে পারে এবং তার (ছোট বোন) শারিরীক অবস্থাও খারাপ হতে থাকে। পরে আমার শাশুড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর মধ্যে আমার বাবাকে ফোন করে অসুস্থতার কথা জানায়।

তিনি আরও বলেন, ‘চার মাস আগে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের দুই মাস পরই শ্বশুর আমাকেও শ্লীলতাহানি করেন। এ ঘটনা স্বামীকে বললে তিনি তা বিশ্বাস করতে চাননি। আমার পরিবারকেও জানিয়েছিলাম। কিন্তু মানসম্মানের ভয়ে তখন বিষয়টি নিয়ে আর কিছু বলা হয়নি।’

শ্রীনগরে নাশকতা মামলায় ৫ জন গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৫৫ অপরাহ্ণ
শ্রীনগরে নাশকতা মামলায়  ৫ জন গ্রেফতার

Screenshot

মুন্সিগঞ্জ  জেলার শ্রীনগরে গত ২৪ ঘন্টায়  নাশকতাার আশঙ্কায়  পুলিশ  ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী  ইউনিয়নের শ্রীধরপুর গ্রাম থেকে মোঃ ইলিয়াস হোসেন ৫০ নামক  এক ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করে। সে বাড়ৈখালি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য। ওই রাতেই শ্রীধরপুর গ্রাম থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ দিপু (৪২) পুলিশ গ্রেফতার করে। সে বাডৈখালি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা ফারুক হোসেনের ভাই।  একই রাতে উপজেলার শ্যামসিদ্ধি  ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আবুল হোসেনকে গাদিঘাট গ্রাম থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বুধবার দুপুরে শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম কে শ্রীনগর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে।  বুধবার বিকেলে  বাঘড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা মোঃ সুমনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।    শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাজমুলহুদা খান জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা  মামলার  রয়েছ।

শ্রীনগর বাজার কমিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৫১ অপরাহ্ণ
শ্রীনগর বাজার কমিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত

ব্যাপক উৎসব উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে শ্রীনগর বাজার কমিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে মোঃ দেলোয়ার হোসেন সভাপতি ও মোঃ মজিবুর রহমান সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। শনিবার সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত শ্রীনগর পাইলট স্কুল এন্ড কলেজে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মোট ভোটার সংখ্যা ১০৫৪। কাস্টিং ভোটের সংখ্যা ৯৫৪ টি।  উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় পর্যাপ্ত পরিমাণ  আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার শ্রীনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ তাজুল ইসলাম। নির্বাচনে অন্যান্য পদে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ জসিম রহমান ও জহিরুল ইসলাম। অর্থ বিষয়ক  সম্পাদক পদে মোঃ জানে আলম টিপু, আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সম্পাদক পদে মোঃ আল আমিন মাঝি, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মোঃ তানভীর।

দূর্গা পূজা উপলক্ষে শ্রীনগরে মন্দির পরিদর্শনে র‍্যাব-১০ এর অধিনায়ক

আসাদুজ্জামান জীনব
প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:১১ অপরাহ্ণ
দূর্গা পূজা উপলক্ষে শ্রীনগরে মন্দির পরিদর্শনে র‍্যাব-১০ এর অধিনায়ক

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় দূর্গা পূজা উপলক্ষে পূজা মণ্ডপ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছেন র‍্যাব১০ এরঅধিনায়ক (সিও) মোঃ কামরুজ্জামান।

রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিনি প্রথমে উপজেলার প্রাচীন ভাগ্যকুল হরেন্দ্র লাল রায় মন্দির পরিদর্শন করেন। সময়সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র‍্যাব১০ এর অধিনায়ক জানান, র‍্যাব১০ এর আওতায় প্রায় ৩৪টি থানা রয়েছে। এর মধ্যেঢাকেশ্বরী মন্দিরসহ বেশ কয়েকটি বড় পূজামণ্ডপ রয়েছে, যেগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুই থেকে তিন ধাপে জোরদার করাহয়েছে।

তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র পোশাকধারী র‍্যাব সদস্য নয়, সিভিল ড্রেসেও সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এখন পর্যন্তকোনো হুমকি বা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‍্যাব সর্বদা প্রস্তুতরয়েছে।

প্রাচীন এই মন্দির পরিদর্শন শেষে তিনি ভাগ্যকুল ঘোষবাড়ি মন্দির, নতুন বাজার যদুনাথ রায় মন্দিরসহ এলাকার আরওকয়েকটি পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখবেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে র‍্যাব১০ এর সিপিসি এর ভাগ্যকুল ক্যাম্প কমান্ডার মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, বর্তমানে ক্যাম্প এলাকায়চারটি টহল টিম কাজ করছে। পাশাপাশি পোশাকধারী সদস্যদের সঙ্গে সিভিল সদস্যরাও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।