খুঁজুন
রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ২ ভাদ্র, ১৪৩২

বিএনপি

গণহত্যার দায়ে আ.লীগকে বিচারের আওতায় আনা দরকার: প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠিতে বিএনপি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৪০ পূর্বাহ্ণ
গণহত্যার দায়ে আ.লীগকে বিচারের আওতায় আনা দরকার: প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠিতে বিএনপি

বিএনপি

গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসাবে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসা দরকার বলে অন্তর্বর্তী সরকারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠকের সময় দেওয়া চিঠিতে এ দাবি জানানো হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাস ও দেশের বিরাজমান পরিস্থিতির বিষয়ে পরামর্শ করতে বৈঠকে যাওয়া বিএনপির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ সময় দলটির পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাস, বিরাজমান রাষ্ট্র পরিস্থিতির বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে লিখিত চিঠি দেওয়া হয়।

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল।

চিঠিতে বলা হয়, পতিত ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করে যাচ্ছে এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সহায়তায় দেশের বাইরে থেকে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এই তৎপরতা চালিয়েই যাবে। সুতরাং গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসাবে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসা দরকার।

বিএনপির পক্ষ থেকে চিঠিতে বলা হয়, দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী রক্তঝরা আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ এর জুলাই-আগস্টে অভূতপূর্ব ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়। গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী বৈষম্যহীন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের স্বপ্নপূরণের জন্য দেশের জনগণ অপেক্ষমান।

গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বিতাড়িত পতিত পরাজিত পলাতক স্বৈরাচার এবং তার দোসরদের উস্কানিমূলক আচরণ, জুলাই আগস্টের রক্তক্ষয়ী ছাত্র অভ্যুত্থান সম্পর্কে অশালীন এবং আপত্তিকর বক্তব্য-মন্তব্য দেশের জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ এবং ক্রোধের জন্ম দিয়েছে। এরই ফলশ্রুতিতে অতি সম্প্রতি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পতিত স্বৈরাচারের স্মৃতি, মূর্তি, স্থাপনা ও নামফলকসমূহ ভেঙে ফেলার মতো জনস্পৃহা দৃশ্যমান হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গত ছয় মাসেও পলাতক স্বৈরাচার এবং তাদের দোসরদের আইনের আওতায় আনতে যথেষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ জনসম্মুখে দৃশ্যমান করতে সফল হয়নি বলে জনমনে প্রতিভাত হয়েছে, ফলে জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার মতো বেআইনি কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত হচ্ছে। একটি সরকার বহাল থাকা অবস্থায় জনগণ এভাবে নিজের হাতে আইন তুলে নিলে দেশে-বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে পারে। অথচ জুলাই ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী জনগণের প্রত্যাশা ছিল দেশে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে, যা বর্তমান সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল।

‘বিরাজমান অস্থিতিশীল রাষ্ট্র পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি, অবনতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, বিনিয়োগ-বাণিজ্যে স্থবিরতা ও বাজার সরবরাহ ব্যবস্থায় নৈরাজ্যপনা ইত্যাদি সীমাহীন জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে প্রতিনিয়ত নানান ধরনের দাবিনামা নিয়ে মব কালচারের মাধ্যমে সীমাহীন জনদুর্ভোগ, সড়কে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে নাগরিকদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টির প্রয়াস লক্ষ্যণীয়, যা মোকাবিলায় সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে মুন্সিয়ানা দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছে। এক ধরনের সামাজিক নৈরাজ্যের বিস্তার লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ফলশ্রুতিতে গণঅভ্যুত্থানের জনআকাঙ্ক্ষা ম্রিয়মান হতে শুরু করেছে। ’

চিঠিতে বলা হয়, এই পরিস্থিতির উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের সার্বিক আকাঙ্ক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এবং সার্বিক গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিতকরণ ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে জন-আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।

প্রধান উপদেষ্টা ও তার সরকারের প্রতি বিএনপির সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করুন, অস্বাভাবিক দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধ করুন, দ্রুত নির্বাচনী রোড ম্যাপ প্রদান করুন, প্রশাসনের সর্বস্তরে পতিত ফ্যাসিবাদের দোসর মুক্ত করুন।

শ্রীনগর বিএনপি’র বিজয় রেলি

শ্রীনগর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ৯:৫৬ অপরাহ্ণ
শ্রীনগর বিএনপি’র বিজয় রেলি

জুলাই আগস্ট ২৪ ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ  সরকারের পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগরে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের  উদ্যোগে বিশাল একটি রেলি বের হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে শ্রীনগর কলেজ গেট এলাকা থেকে মুন্সিগঞ্জ ১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী  উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  আলহাজ্ব মমিন আলী নেতৃত্বে রেলিটি বের হয়ে ছনবাড়ি চৌরাস্তা এসে শেষ হয়। রেলিত অংশগ্রহণ করেন, মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সিরাজদিখান  উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক  মোঃ জসিম উদ্দিন, মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক  মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন মোল্লা, সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বান কমিটির
সদস্য সচিব আলী আনসার মোল্লা, শ্রীনগর উপজেলা বিএনপি সাবেক সহ-সভাপতি আমির আলি মৃধা, কফিল বেপারী, মনসুর মাঝি, শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতিন, মনিরুল আলম, আবুল হোসেন তালুকদার, শেখ মোঃ জনি প্রমুখ।

শ্রীনগরে পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষিত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসি ইউনিটে ভর্তি

শ্রীনগর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১২:৩০ পূর্বাহ্ণ
শ্রীনগরে পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষিত  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসি ইউনিটে ভর্তি
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে চকলেট খাওয়ানো লোভ দেখিয়ে পাঁচ বছর এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করেছে আলাল(১৮) নামক এক বখাটে। শিশুটি বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।  বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শ্রীনগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিশুটির মা। মামলায় ফৈনপুর এলাকার ফজল খানের পুত্র বখাটে আলালকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাজমুল হুদা খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আসামি পলাতক থাকায় তাকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে পাটাভোগ ইউনিয়নের ফৈনপুর এলাকায় অন্যান্য দিনের মত শিশু কন্যাকে নিয়ে তার মা বাসাবাড়িতে কাজ করতে যান।  এসময় মেয়েটিকে চকোলেট ও মোবাইলে গেমস খেলার লোভ দেখিয়ে স্থানীয় আলাল পাশের বাড়ির নির্জন একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটির মা কান্নার শব্দ শুনে নির্জন ওই ঘরে গেলে ধর্ষক আলাল শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেসে নিয়ে গেলে,কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য  ঢাকা মিটফোর্ড স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় শিশুটিকে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জে কারাবন্দি অবস্থায় অসুস্থ আ.লীগ নেতা, হাসপাতালে মৃত্যু

আমার বাংলা অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ৩:০২ অপরাহ্ণ
মুন্সীগঞ্জে কারাবন্দি অবস্থায় অসুস্থ আ.লীগ নেতা, হাসপাতালে মৃত্যু

মুন্সীগঞ্জে কারাবন্দি অবস্থায় অসুস্থ হওয়া পর সারোয়ার হোসেন নান্নু (৬৫) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা ও হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার ভোর ৪টার দিকে কারাগার থেকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আতাউর গনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নান্নু সদর উপজেলার মিরেশ্বরাই এলাকার রাজ্জাক মোল্লার ছেলে ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গত বছরের ৪ আগস্টে মুন্সীগঞ্জে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় একটি হত্যা মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন।

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, মুমূর্ষু অবস্থায় ওই রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। প্রাথমিকভাবে রোগীর উপসর্গ দেখে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে অনুমান করা গেছে। মরদেহ মর্গে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এদিকে পরিবারের দাবি, নান্নু রাতে অসুস্থ হলেও কারা কর্তৃপক্ষ তাদের জানায়নি। বরং সকালে মৃত্যুর পর তাদের জানানো হয়েছে।

নান্নু ভাতিজা শাহরিয়ার জানান, যেহেতু মৃত্যুর অনেক পরে জানানো হয়েছে, তাই সঠিক কোথায় কীভাবে মারা গেছে; তা নিয়ে সন্দিহান আমরা। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে স্বজনরা।

মুন্সীগঞ্জ কারাগারের জেলসুপার মুহাম্মদ এনায়েত উল্ল্যাহ জানান, বুকের ব্যথার কারণে আজ রোববার ভোর রাত সাড়ে ৩ টায় জেলখানা থেকে হাসাপাতালে নিলে ৪ টার দিকে তিনি মারা যান। অসুস্থের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারকে জানানো সম্ভব হয়নি। কারণ, তখন তার চিকিৎসার জন্যই সবাই ব্যস্ত ছিল।