খুঁজুন
শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫, ১ ভাদ্র, ১৪৩২

ছাত্রলীগের বিচার চেয়ে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের স্মারকলিপি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:১৬ অপরাহ্ণ
ছাত্রলীগের বিচার চেয়ে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের স্মারকলিপি

নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের বিচার ও সাজা নিশ্চিতের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে ঢাকা কলেজ ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টার দিকে কলেজ অধ্যক্ষ এ কে এ ইলিয়াসের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন নেতাকর্মীরা।

স্মারকলিপি দেওয়ার আগে ঢাকা কলেজের শহীদ মিনারে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা। সেখানে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বেশ কয়েকমাস অতিবাহিত হলেও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো পর্যন্ত খুনি সংগঠন ছাত্রলীগের কোনো শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়নি।

তিনি বলেন, ছাত্রলীগের যে কজন সন্ত্রাসী এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের ছাত্র-জনতাই ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, এখনো অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের ধরার জন্য কোনো সাঁড়াশি অভিযান বা শক্ত পদক্ষেপ নেয়নি।

তিনি আরও বলেন, খুনি শেখ হাসিনা বিদেশে বসে বাংলাদেশের মানুষকে দোষারোপ করছে এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের জন্য কোনো রকম অনুশোচনা প্রকাশ করেনি বরং বাংলাদেশের মানুষকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।

ছাত্রলীগের উদ্দেশে নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, আপনারা আর কোনো রকম সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন না। এবং গত সাড়ে ১৫ বছরে দেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসে যেভাবে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন, তার বিচার বাংলার মাটিতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের বিচার দাবি করছি। একইসঙ্গে তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। বিভিন্ন ক্যাম্পাসের দায়িত্বে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের ভবিষ্যৎ রাজনীতি হবে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের স্বার্থ ভুলুণ্ঠিত হয়, এমন রাজনীতি ঢাকা কলেজ ছাত্রদল কখনো করব না।

এ সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি হাসিবুল ইসলাম সজীব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম, হায়াৎ মাহমুদ জুয়েল, মাসুদ রানা, হাবিবুর রহমান হাবিব, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক পিয়াল হাসান, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিনসহ অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শ্রীনগর বিএনপি’র বিজয় রেলি

শ্রীনগর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ৯:৫৬ অপরাহ্ণ
শ্রীনগর বিএনপি’র বিজয় রেলি

জুলাই আগস্ট ২৪ ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ  সরকারের পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগরে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের  উদ্যোগে বিশাল একটি রেলি বের হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে শ্রীনগর কলেজ গেট এলাকা থেকে মুন্সিগঞ্জ ১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী  উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  আলহাজ্ব মমিন আলী নেতৃত্বে রেলিটি বের হয়ে ছনবাড়ি চৌরাস্তা এসে শেষ হয়। রেলিত অংশগ্রহণ করেন, মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সিরাজদিখান  উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক  মোঃ জসিম উদ্দিন, মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক  মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন মোল্লা, সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বান কমিটির
সদস্য সচিব আলী আনসার মোল্লা, শ্রীনগর উপজেলা বিএনপি সাবেক সহ-সভাপতি আমির আলি মৃধা, কফিল বেপারী, মনসুর মাঝি, শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতিন, মনিরুল আলম, আবুল হোসেন তালুকদার, শেখ মোঃ জনি প্রমুখ।

শ্রীনগরে পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষিত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসি ইউনিটে ভর্তি

শ্রীনগর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১২:৩০ পূর্বাহ্ণ
শ্রীনগরে পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষিত  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসি ইউনিটে ভর্তি
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে চকলেট খাওয়ানো লোভ দেখিয়ে পাঁচ বছর এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করেছে আলাল(১৮) নামক এক বখাটে। শিশুটি বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।  বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শ্রীনগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিশুটির মা। মামলায় ফৈনপুর এলাকার ফজল খানের পুত্র বখাটে আলালকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাজমুল হুদা খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আসামি পলাতক থাকায় তাকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে পাটাভোগ ইউনিয়নের ফৈনপুর এলাকায় অন্যান্য দিনের মত শিশু কন্যাকে নিয়ে তার মা বাসাবাড়িতে কাজ করতে যান।  এসময় মেয়েটিকে চকোলেট ও মোবাইলে গেমস খেলার লোভ দেখিয়ে স্থানীয় আলাল পাশের বাড়ির নির্জন একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটির মা কান্নার শব্দ শুনে নির্জন ওই ঘরে গেলে ধর্ষক আলাল শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেসে নিয়ে গেলে,কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য  ঢাকা মিটফোর্ড স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় শিশুটিকে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জে কারাবন্দি অবস্থায় অসুস্থ আ.লীগ নেতা, হাসপাতালে মৃত্যু

আমার বাংলা অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ৩:০২ অপরাহ্ণ
মুন্সীগঞ্জে কারাবন্দি অবস্থায় অসুস্থ আ.লীগ নেতা, হাসপাতালে মৃত্যু

মুন্সীগঞ্জে কারাবন্দি অবস্থায় অসুস্থ হওয়া পর সারোয়ার হোসেন নান্নু (৬৫) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা ও হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার ভোর ৪টার দিকে কারাগার থেকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আতাউর গনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নান্নু সদর উপজেলার মিরেশ্বরাই এলাকার রাজ্জাক মোল্লার ছেলে ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গত বছরের ৪ আগস্টে মুন্সীগঞ্জে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় একটি হত্যা মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন।

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, মুমূর্ষু অবস্থায় ওই রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। প্রাথমিকভাবে রোগীর উপসর্গ দেখে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে অনুমান করা গেছে। মরদেহ মর্গে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এদিকে পরিবারের দাবি, নান্নু রাতে অসুস্থ হলেও কারা কর্তৃপক্ষ তাদের জানায়নি। বরং সকালে মৃত্যুর পর তাদের জানানো হয়েছে।

নান্নু ভাতিজা শাহরিয়ার জানান, যেহেতু মৃত্যুর অনেক পরে জানানো হয়েছে, তাই সঠিক কোথায় কীভাবে মারা গেছে; তা নিয়ে সন্দিহান আমরা। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে স্বজনরা।

মুন্সীগঞ্জ কারাগারের জেলসুপার মুহাম্মদ এনায়েত উল্ল্যাহ জানান, বুকের ব্যথার কারণে আজ রোববার ভোর রাত সাড়ে ৩ টায় জেলখানা থেকে হাসাপাতালে নিলে ৪ টার দিকে তিনি মারা যান। অসুস্থের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারকে জানানো সম্ভব হয়নি। কারণ, তখন তার চিকিৎসার জন্যই সবাই ব্যস্ত ছিল।