খুঁজুন
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৫ বৈশাখ, ১৪৩২

অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতনের কথা স্মরণ করিয়ে দিল বিএনপি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:০৬ অপরাহ্ণ
অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতনের কথা স্মরণ করিয়ে দিল বিএনপি

দেশে বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দলের পক্ষ থেকে বেশ বড়সড় একটি চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ‘দেশে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দ্রুত করণীয় কিছু বিষয়ে মতামত ও পরামর্শ’ শীর্ষক এই চিঠিতে বিএনপি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-শ্রমিক জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান এবং শাসকদের পলায়নের কথা উল্লেখ করেছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার হাতে চিঠিটি তুলে দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

চিঠিতে বিএনপি উল্লেখ করেছে, দীর্ঘ ১৬ বছরের লড়াইয়ে ১৭শ’র বেশি বিরোধী নেতা-কর্মী গুম, সহস্রাধিক খুন এবং ৬০ লাখের বেশি নেতা-কর্মী আহত, পঙ্গু ও গায়েবি মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছেন। এ ছাড়াও ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে দুই সহস্রাধিক তরুণ, ছাত্র, শ্রমিক ও নারী-শিশু জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং আরও কয়েক হাজার আহত ও পঙ্গু হয়েছেন। বিএনপি এই ফ্যাসিবাদের পতন এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াইকে অসীম আত্মত্যাগ ও সাহসী লড়াইয়ের এক গৌরবজনক ইতিহাস বলে অভিহিত করেছে।

চিঠিতে বলা হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে গণতন্ত্র ও মানবিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রতিটি লড়াইয়ের নেতৃত্ব দানকারী বা সক্রিয় অংশীদার হিসেবে বিএনপি সর্বদা জনগণের কল্যাণে কাজ করে এসেছে। সেই লক্ষ্যে বিএনপি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে এবং তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে একটি টেকসই ক্ষেত্র তৈরির জন্য সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনার ভার গ্রহণে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন জানিয়েছে এবং পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ও সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।

বিএনপি আশা প্রকাশ করে, অধ্যাপক ইউনূস ও তার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা হলো দ্রুত ফ্যাসিবাদী দল, তাদের দলীয় সরকার ও সহযোগীদের আইনের আওতায় এনে গণবিরোধী ও মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার, দুর্নীতি ও লুটপাটের বিচার এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা, নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ ও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা, দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃঙ্খলার উন্নতি ঘটানো এবং দ্রুত একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া।

বিএনপি মনে করে, একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংবিধান, আইন, বিধি ও প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন ও সংস্কার অপরিহার্য। এক্ষেত্রে সরকারের যেকোনো উদ্যোগে তারা সমর্থন জানাবে।

চিঠিতে বিএনপি ‘আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র’ এবং ‘আগে সংস্কার পরে গণতন্ত্র’ উভয় তত্ত্বকেই ভ্রান্ত আখ্যায়িত করে। তারা মনে করে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও কার্যকর করার মাধ্যমেই সবার জন্য উন্নয়ন সম্ভব এবং এর জন্য রাষ্ট্রব্যবস্থা, আইন ও নীতির সংস্কার জরুরি।

বিএনপি দাবি করে, দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতির ইতিহাসে প্রায় সবগুলো যুগান্তকারী সংস্কার তাদের হাত ধরেই এসেছে। তারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভিশন-২০৩০ এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ২৭ দফা ও অন্যান্য দলের মতামত নিয়ে ঘোষিত ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেছে।

বিএনপি জানায়, সংস্কারের চলমান প্রক্রিয়া তাদের ঘোষণারই অংশ এবং তারা যেকোনো ‘যুক্তিগ্রাহ্য আলোচনা’ স্বাগত জানায়। তবে, দল বা গোষ্ঠীর স্বার্থে সময়ক্ষেপণ করে জনগণের ভোটাধিকার বঞ্চিত করার কৌশল তারা সমর্থন করে না।

বিএনপি এর আগে গত বছরের ২১ নভেম্বর ও চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টাকে তাদের কিছু উদ্বেগ ও পরামর্শ জানিয়েছিল, তবে সেসব বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে তারা উল্লেখ করে। এ ছাড়া ফ্যাসিস্ট সরকার কর্তৃক বৈষম্যের শিকার ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হলেও পদায়ন না করায় সরকারের কার্যক্রমে ব্যাহত হচ্ছে বলে বিএনপি মনে করে এবং দ্রুত তাদের পদায়নের দাবি জানায়।

চিঠিতে বিএনপি রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী ও সরকারের বক্তব্যে ‘সমন্বয়’-এর ওপর গুরুত্বারোপ করে এবং সম্প্রতি এর ‘ব্যতিক্রম’ তাদের ‘উদ্বিগ্ন’ করেছে বলে জানায়। তারা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আস্থা রাখতে চায়, তবে তার সরকারের কিছু ব্যক্তি ও সমর্থনকারীদের বক্তব্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানায়।

বিএনপি আরও জানায়, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার ‘মহান দায়িত্ব’ প্রধান উপদেষ্টার উপর অর্পিত হয়েছে এবং তারা আশা করে যত দ্রুত সম্ভব তা পালন করা হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানায় বিএনপি। তারা এনআইডি প্রকল্প নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখা এবং নির্বাচনী এলাকা পুনঃনির্ধারণের আইনি জটিলতা দ্রুত নিরসনেরও প্রস্তাব করে।

একই সঙ্গে, বিএনপি ফ্যাসিবাদী দল ও তাদের সরকারের সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচার, জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ ও সুচিকিৎসা, দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন এবং ১/১১ ও ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে দায়েরকৃত মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানায়।

চিঠির শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার মাধ্যমে জনমনে সৃষ্ট বিভ্রান্তি অবসানে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান।

ইউনূস সরকারের মেয়াদ ৫ বছর বৃদ্ধির দাবিতে ‘আমরণ অনশন’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:০৬ অপরাহ্ণ
ইউনূস সরকারের মেয়াদ ৫ বছর বৃদ্ধির দাবিতে ‘আমরণ অনশন’
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কার্যত তিন দিন দেশ সরকারশূন্য ছিল। গত ৮ আগস্ট তিনিসহ ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ জন শপথ নেন। 
সম্প্রতি বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ড. ইউনূস সরকারের ন্যূনতম পাঁচ বছর মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি উঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘মার্চ ফর ইউনূস স্যার’ ব্যানারে একদল যুবককে অনশন করতে দেখা যায়।
সরেজমিন দেখা যায়, ড. ইউনূস সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর করা জন্য রাজু ভাস্কর্যের সামনে অনশন শুরু করেছেন একদল যুবক। প্রয়োজনে তারা আমরণ অনশন শুরু করবেন। তাদের মাথার উপরে আরও একটি ব্যানার দেখা যায়। সেই ব্যানারের শিরোনামে উল্লেখ রয়েছে- আগে সংস্কার পরে নির্বাচন; আগে জনতা পরে ক্ষমতা।
তার নিচেই লেখা রয়েছে- অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নূন্যতম ৫ বছর মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য প্রাথমিক অবস্থান পরে চূড়ান্ত আমরণ অনশন। সেখানে তাদের পাঁচটি দাবির কথা উল্লেখ করা রয়েছে।
দাবিগুলো হলো-
১. অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলেই ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যাকারীদের বিচার শেষ করতে হবে।
২. নূন্যতম আগামী পাঁচ বছর রাষ্ট্র সংস্কার চলবে তারপর নির্বাচন।
৩. আগে স্থানীয় সরকার পরে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।
৪. প্রশাসনের মধ্যে যেখানে ফ্যাসিসদের দোসর রয়েছে তাদের দ্রুত অপসারণ করতে হবে এবং যোগ্য লোক বসাতে হবে।
৫. নির্বচানে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নূন্যতম স্নাতক হতে হবে।
অনশনে অংশগ্রহণকারী এক যুবক বলেন, আমরা ড. ইউনূস স্যারকে আগামী পাঁচ বছর চাই। কারণ তার পাঁচ বছরের মধ্যে রাষ্ট্রের সব সংস্কার শেষ হোক। উনি ছাড়ার সংস্কার সম্ভব না। আমাদের যে রাজনৈতিক দলেগুলো রয়েছে তারা জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। তাছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অনেক তাজা প্রাণ হারিয়েছি। এসবের বিচার ড. ইউনূস ছাড়া সম্ভব না।
নির্বচানে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে আরেক যুবক বলেন, যারা নির্বাচনে অংশ নেন তাদের অধিকাংশ নিজের নাম লিখতে পারেন না। তারা ক্ষমতার জুড়ে এমপি হয়ে যান। শিক্ষিত নির্বাচিত প্রতিনিধি দেশ ও জাতির উন্নয়নে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখতে পারবেন।

রাজধানীর বাজারে ৮০ টাকার নিচে মিলছে না সবজি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:০২ অপরাহ্ণ
রাজধানীর বাজারে ৮০ টাকার নিচে মিলছে না সবজি
রমজানের ঈদের পর রাজধানীর বাজারে কিছুদিন ধরে সবধরনের সবজির দাম বেড়ে গেছে। গেল রমজান মাস জুড়ে সবজির দাম সবচেয়ে কম থাকায় ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে কিনতে পেরেছেন। তবে ঈদের পর থেকে বাজারে সবজির দাম বাড়তি যাচ্ছে। 
বলতে গেলে বাজারে এখন সব সবজির দাম বাড়তি। সবচেয়ে দামি সবজির তালিকায় আছে কাঁকরোল, যার প্রতি কেজি ১৪০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি গোল বেগুনও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে, পাশাপাশি লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা।
আজ শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির এমন বাড়তি দামের চিত্র দেখা গেছে। বাজারে ৬০ থেকে ৮০ টাকার নিচে তেমন কোনো সবজিই নেই।
আজকের বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, মুলা ৬০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ১৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, উচ্ছে  ৮০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতিকেজি ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৭০টাকায়, ধুন্দুল ১০০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, বেগুন (গোল) ১০০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ৮০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, কচুর লতি  ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, জালি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
হাতিরপুল বাজারে আসা এক ক্রেতা বলেন, আজ বাজারে দেখলাম সবজির বাজার খুব চড়া। এত দাম দিয়ে সবজি তো সাধারণ মানুষ কিনে খেতে পারে না। এজন্য দরকার সরকারি মনিটরিং ব্যবস্থা, কি কারণে সবজির দাম বাড়ছে, কারা বাড়াচ্ছে এসব বিষয় তদারকি করা খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। নয়তো যে যার মত করে সবজির দাম বাড়িয়ে রাখছে। বাজারে দেখলাম সবচেয়ে বেশি দামি সবজি হচ্ছে কাঁকরোল আর বেগুন। এগুলো ১৪০/১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাকি সবজিগুলোর দামও ৭০ থেকে ৮০ টাকার ঘরে।
চানখারপুল বাজারে আরেক ক্রেতা বলেন, বাজারে সবজির দাম বাড়তি। বিশেষ করে ঈদের পর থেকে প্রতিদিনই সবজির দাম বেড়েই চলছে। এখানে ৭০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। আর অন্যান্য সবজির দাম তো সেঞ্চুরি পেরিয়েছে। এত দামি সবজি আমাদের মতো সাধারণ করে তাদের কিনে খাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাজধানীর উত্তর বাড্ডার এক সবজি বিক্রেতা বলেন, বাজারে এখন সবজির সরবরাহ কম। মূলত মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে এসব সবজি বাজারে সরবরাহ কম, সে কারণেই দাম বাড়তি যাচ্ছে। শীতের সবজি শেষ হয়ে যাওয়ার পর বাজারে আস্তে আস্তে দাম বাড়তে থাকে।
বাজারে সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে চাল। মজুত পর্যাপ্ত থাকার পরও মিনিকেট চালের কেজি ৯০, আর মোটা চালের জন্য গুনতে হচ্ছে ৬০ টাকার বেশি।
বেগুন, করলা, কাঁচামরিচের কেজি পাইকারি বাজারেই ৮০ টাকার বেশি। সস্তার পেঁপের দামও ৬০ টাকা কেজি। পেঁয়াজের দামও মাত্রাহীন, কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকায়। তবে দাম বাড়ানোর প্রশ্নে কোনো সদুত্তর নেই বিক্রেতাদের কাছে।

শ্রীনগরের ছনবাড়ীতে প্রকাশ্যে চাদাঁবাজি

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:২৮ অপরাহ্ণ
শ্রীনগরের ছনবাড়ীতে প্রকাশ্যে চাদাঁবাজি

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ছনবাড়ী চৌরাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতিতেই প্রকাশ্যে চলছে চাঁদাবাজি। দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র প্রকাশ্য যানবাহন থেকে টাকা আদায় করে যাচ্ছে। পুলিশ যেন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ছনবাড়ী চৌরাস্তায় প্রতিদিন শতাধিক গাড়ি চলাচল করে। সেই সুযোগেই একদল চাঁদাবাজ সেখান থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে। ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতিতেই এই ঘটনা ঘটে চলেছে। ক্যামেরা বা সংবাদকর্মীর উপস্থিতি টের পেলে চক্রটি দ্রুত ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ এসব দেখেও না দেখার ভান করছে। কোন অদৃশ্য সমঝোতার কারণে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে?

এ বিষয়ে শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাকিল আহমেদ (বিপিএম) বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমার জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখব এবং আইনগত ব্যবস্থা নেব।’