খুঁজুন
সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ২৪ চৈত্র, ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জ জেলা সাংবাদিক কল্যান সমিতির আয়োজনে ঈদ পূনর্মিলনী ও আলোচনা সভা।

এমএ কাইয়ুম মাইজভাণ্ডারী
প্রকাশিত: শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:০২ অপরাহ্ণ
মুন্সীগঞ্জ জেলা সাংবাদিক কল্যান সমিতির আয়োজনে ঈদ পূনর্মিলনী ও আলোচনা সভা।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির শেষ কর্ম দিবসে অনুস্ঠিত হয়ে গেল মুন্সীগঞ্জ জেলায় কর্মরত গনমাধ্যমকর্মীদের মিলন মেলা ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠান ও আলোচনস সভা।

শনিবার ৫ এপ্রিল মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার মাওয়া শিমুলিয়া ঘাটে শখের হাঁড়ি রেস্তোরাঁয় মুন্সীগঞ্জ জেলা সাংবাদিক কল্যান সমিতির আয়োজনে এই পূনর্মিলনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ২ ঘটিকায় আলোচনা সভা শেষে মধ্যাহ্ন ভোজ ইলিশ ভোজের আয়োজন করা হয়।

এসময় উপস্থিত বক্তাগন মুন্সীগঞ্জ জেলা সহ সারা দেশের যে সকল গনমাধ্যম কর্মীগন নির্যাতিত হবেন তাদের পাশে অবস্থান নেওয়ার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।

মুন্সীগঞ্জ জেলা সাংবাদিক কল্যান সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধরন সম্পাদক এমএ কাইয়ুম মাইজভাণ্ডারীর সঞ্চালনায় এবং সহ-সভাপতি আবু নাসের লিমন ও সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন আহাম্মেদের সার্বিক তত্বাবধানে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়। এসময় তাদের  সার্বিক ভাবে সহযোগীতা করেন কোষাধ্যক্ষ মো. মিঠু তালুকদার, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তাইজুল ইসলাম বিদ্যূৎ, সহ-কোষাধ্যক্ষ মো. জাহিদ হোসেন ও কার্যকরী সদস্য মো. ফিরোজ আলম বিপ্লব।

উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা থেকে আগত সাংবাদিক সগীর আহাম্মেদ মাসুম, ইন্দ্রজিৎ চন্দ্র ঘোষ, আক্তার হোসেন, আনিসুর রহমান নিলয়, হারুন অর রশিদ, নাজমুল ইসলাম, রেহমান আসাদ, গোপাল দাস হৃদয়, দীপু মালাকার, মো. সৌরভ, মুন্সীগঞ্জ জেলা থেকে আগত সাংবাদিক মো. মাহবুবুর রহমান, মো.  মন্জুর মোর্শেদ, রাসেল মাহমুদ, শহীদ ই হাসান তুহিন, জসিম উদদীন দেওয়ান, আব্দুল্লাহ নুর তুষার, সুমিত সরকার সুমন, বিক্রমপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মাসুদ খান। আরও উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা সাংবাদিক কল্যান সমিতির সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান ঝিলু, মো. শওকত হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন হারিছ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হামিদুল ইসলাম স্বপন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল সালমান রূপক প্রমুখ।

পদ্মাসেতু উত্তরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ উভয় পক্ষের দায় অস্বীকার।

এমএ কাইয়ুম মাইজভাণ্ডারী
প্রকাশিত: রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:২৯ অপরাহ্ণ
পদ্মাসেতু উত্তরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ উভয় পক্ষের দায় অস্বীকার।

মুন্সিগঞ্জের পদ্মাসেতু উত্তরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনার দায় অস্বীকার করেছে উভয় পক্ষ।

গতকাল শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পদ্মাসেতু উত্তর থানার মেদেনীমন্ডল ইউনিয়নের কান্দিপাড়া দর্জিবাড়ি মাঠে আওলাদ খান গং ও আল-আমীন খান গং-এর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ উঠেছে।

সংঘর্ষ চলাকালে প্রায় ৮ থেকে ১০ রাউন্ড গুলির শব্দ ও বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
তবে, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত কিংবা গুরুতর আহতের খবর পাওয়া যায়নি। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ ও কোস্টগার্ড।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২ রাউন্ড ও কোস্টগার্ড ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে।
এলাকাবাসীরা জানান, রাতের অন্ধকারে হঠাৎ করে গুলির শব্দ ও হইচই শুরু হয়। এতে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
একাধিক ব্যক্তি জানান, আওলাদ হোসেন খান ও আল-আমিন খান গং-এর মধ্যে পুরনো শত্রুতার জের ধরেই এ সংঘর্ষ ঘটে।

এ বিষয়ে শ্রমিক দল নেতা মোঃ আওলাদ হোসেন খান বলেন, “আল-আমিন খান তার লোকজন নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায় ও প্রতিবেশী একটি বাড়িতে ভাঙচুর করে। তারা ৪০-৫০ জনের একটি দল ছিল এবং তাদের কাছে বন্দুক ছিল, যার দ্বারা গুলি চালানো হয়। তারা এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং চাঁদাবাজির সাথে জড়িত।

অপরদিকে,যুবদল নেতা মোঃ আল-আমিন খান বলেন, আমার আওলাদ হোসেনের সাথে ব্যক্তিগত কোনো শত্রুতা নেই। ঘটনার শুরু হয় ছাত্রদল ও যুবলীগ কর্মীদের হাতাহাতি থেকে। পরে দর্জিবাড়ি মসজিদে এশার নামাজ চলাকালে আওলাদ গং-এর সহযোগিতায় কিছু অস্ত্রধারী যুবলীগ কর্মী গুলি চালায় ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।”
তিনি আরও বলেন, “এতে মসজিদের মুসল্লি এবং সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে আমাদের কিছু সমর্থক প্রতিপক্ষের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়।”
এ ঘটনার পর পুরো এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
পদ্মা সেতু উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকির হোসেন জানান, তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমন সংঘর্ষ ঘটে। এ নিয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিরাজদিখানে নিখোঁজের ৩ দিন পর অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার 

আরিফ হোসেন হারিছ
প্রকাশিত: রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:২৫ অপরাহ্ণ
সিরাজদিখানে নিখোঁজের ৩ দিন পর অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার 

ঢাকার জেলার নবাবগঞ্জ থেকে নিখোঁজের দিন পর মুন্সীঞ্জের সিরাজদিখানে অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার করেছে সিরাজদিখানথানা পুলিশ।

তার নাম শাহ আলম (৬৫) রোরবার এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের খারশুল গ্রমেরঢাকানবাবগঞ্জ সড়কের  পাশে পড়ে থাকা অবস্থায় অটোরিকশা চালকের ওই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের ধারনা চালককে হত্যা করেঅটোরিকশাটি ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দুস্কৃতকারীরা। 

নিহত অটোরিকশা চালক শাহ আলম ঢাকার জেলার  নবাবগঞ্জ উপজেলার বাহ্রা গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে। স্বজনরা জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো গেলো বুধবার নিজ বাড়ি থেকে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হন চালক শাহ আলম। এরপর রাতে আর বাড়িফিরে আসেনি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে নবাবগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। 

সিরাজদিখান উপজেলার শেখরনগর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (আইসি) মো.তাইজুল ইসলাম জানান, সকালে খারশুল গ্রামের রাস্তারপাশে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পরে ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতন্তের জন্য লাশমুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে চালককে হত্যা করে তারঅটোরিকশা নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুস্কৃতকারীরা। পরে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে গেছে। অটোরিকশা চালক শাহ আলমগত এপ্রিল থেকে নিখোঁজ ছিলো।

টঙ্গীবাড়িতে আগুনে ৪টি ঘর ভস্মীভূত ৭ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি

ফিরুজ আলম বিপ্লব
প্রকাশিত: রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৩:৪১ অপরাহ্ণ
টঙ্গীবাড়িতে আগুনে ৪টি ঘর ভস্মীভূত ৭ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে আগুনে ৪টি ঘর পুড়ে ছাই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৭ লক্ষ টাকা ।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কামারখাড়া ইউনিয়নের ধুপড়াবাসা গ্রামে । মঙ্গলবার রাত ৮ টার সময় বসত ঘরের পশ্চিম পাশে একটি ঘরে আগুনের সূত্রপাত ঘটে । মুহত্তের মধ্যে পাশের ৩টি ঘরে আগুন ছড়িয়ে পরে, এলাকাবাসী ১ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে । টঙ্গিবাড়ি উপজেলার কামারখাড়া ইউনিয়নের ধোপড়াবাসা গ্রামের মালেক শিকদার জানান, কিভাবে আগুন লেগেছে তা সঠিক ভাবে বলতে পারছিনা । আমার ছোট ভাই মতি শিকদারের ঘরে রাত ৮টার সময় আগুন দেখতে পেয়ে আমাদের আত্মচিৎকারে এলাকার মানুষ ছুটে আসে, মুহত্তের মধ্যে ৪টি ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায় । ঘরের আসবাপত্র ও নগদ টাকা সহ মোট প্রায় ৭লহ্ম টাকা ক্ষতি হয়েছে ।

ঘরে আগুনের অবস্থা দেখে আমার ভাই মতির শিকদার অজ্ঞান হয়ে পড়ে, বর্তমানে আমার ভাই ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে । বর্তমানে মতি শিকদার ও তার ভাই মালেক শিকদারের পরিবারের লোকজন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে । স্থানীয় রুহুল মিয়া জানান, এরকম হৃদয় বিদারক ঘটনা এই গ্রামে আর কখনো হয়নি ।