খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০২৫, ১৭ আশ্বিন, ১৪৩২

সংস্কারের

প্রধানমন্ত্রী পদ ও সরকারের মেয়াদ নিয়ে বিএনপির আপত্তি কেন?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫, ১:৩৬ পূর্বাহ্ণ
প্রধানমন্ত্রী পদ ও সরকারের মেয়াদ নিয়ে বিএনপির আপত্তি কেন?

রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সংস্কারের উদ্যোগ নেয় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু এই উদ্যোগের মাঝপথে এসে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে মতবিরোধ দেখা যাচ্ছে কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে।

বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী পদে একই ব্যক্তির দুই বারের বেশি না আসা, প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানের পদে একইসঙ্গে না থাকা, সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে চার বছরে কমিয়ে আনার মতো প্রধান কয়েকটি সংস্কার প্রস্তাবনার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে বিএনপি।

গত মঙ্গলবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে জমা দেয়া প্রতিবেদনে এই বিষয়গুলোয় আপত্তির কথা জানায় দলটি।

মূলত বিএনপির ওই প্রস্তাব ঘিরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও রাজনীতির মাঠে এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা দেখা যায়।

দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা নিয়ে বিএনপির আপত্তির বিষয়টি ঘিরেই সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলছে।

বিএনপি’র যুক্তি হলো, একটানা দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী পদে কোনো এক ব্যক্তির না থাকার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তবে তিনি দুই মেয়াদের পর বাকি জীবনে আর কখনো এই পদে আসতে পারবেন না–– এরকম বিধান করা ঠিক হবে না।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের সংবিধানে সুনির্দিষ্ট করে প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ না থাকার কারণে টানা চার মেয়াদ ক্ষমতা আঁকড়ে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্ষমতায় থেকে তিনি দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে নানা প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন, অন্যদিকে নিজের ক্ষমতাকেই পাকাপোক্ত করেছেন।

যে কারণে বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদের বিষয়টি আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে যে কেউ ক্ষমতায় গিয়ে স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আব্দুল আলীম বিবিসি বাংলাকে বলেন, “কোনো সময়সীমা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদের শাসন আটকানো না গেলে একদিকে যেমন স্বৈরাচারী সিস্টেম বদল করা যাবে না, অন্যদিকে রাজনীতিতে নেতৃত্বের বিকাশও ঘটবে না।”

রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার পর সংস্কার কমিশনগুলো এইসব প্রস্তাব চূড়ান্ত করে বলে জানানো হয়।

এখন বিএনপির আপত্তির কারণে এক ব্যক্তির দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা ও চার বছর মেয়াদের সরকারের মতো বিষয়গুলো সংস্কারে আটকে যেতে পারে বলে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

যদিও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “এটা আমাদের দলগত সিদ্ধান্ত। তবে আমরা সব সময় উইন্ডো ওপেন রেখেছি যে আমরা আলাপ আলোচনার মধ্যে দিয়ে যৌক্তিকভাবে যে কোনো কিছুই আমরা মেনে নেবো।”

এই সংস্কারের পেছনে যুক্তি কী?

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সংস্কারে উদ্যোগ এর আগেও নেওয়া হয়েছিল ২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে।

তবে পরের বছর ডিসেম্বরে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পরই আদালতের রায়ের মাধ্যমে বাতিল করা হয় নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা।

এরপর দলীয় সরকারের অধীনে তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। প্রতিবারই ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ, আর প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা সরকারে থাকা অবস্থায় প্রায় তিন দশকে বাংলাদেশে একের পর এক বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজন করা হয়।

গত বছরের অগাস্টে গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত সংস্কার কমিশনগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে নানা পরামর্শও নেয়।

পরে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন, বিচার বিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশ স্প্রেডশিটে ছক আকারে দিয়ে দলগুলোর মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

এর মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ছিল এক ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি কখনো প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না।

বর্তমানে বাংলাদেশের সংবিধানে প্রধানমন্ত্রী পদের কোনো সুনির্দিষ্ট মেয়াদ নেই। সেই সাথে একটানা কতদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবে সে বিষয়টিও বেঁধে দেয়া নাই বাংলাদেশের সংবিধানে।

ফলে শেখ হাসিনা টানা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকার পর তাকে স্বৈরাচার তকমা নিয়ে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয় পদ থেকে।

বিএনপি গত মঙ্গলবার সংস্কার কমিশনের কাছে যে প্রস্তাব করেছে সেখানে তারা নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের সাথে দ্বিমত পোষণ করেছে।

তবে বিএনপি একটানা দুই মেয়াদের বেশি ক্ষমতায় থাকার বিষয়েও আপত্তি জানিয়েছে ঐকমত্য সংস্কার কমিশনের কাছে।

কেন সংস্কার কমিশন প্রধানমন্ত্রী পদে দুই মেয়াদে বেঁধে দিতে চাইছেন তার একটি যুক্তিও বিবিসি বাংলাকে তুলে ধরেন সংস্কার কমিশনের সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আব্দুল আলীম।

তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমিরি পুতিনের উদাহরণ টেনে বলেন, “রাশিয়ার আইনেও টানা দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী অথবা রাষ্ট্রপতি থাকার সুযোগ নাই। যে কারণে পুতিন কখনো রাষ্ট্রপতি, কখনো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা থাকেন। টানা প্রায় ২৬ বছর ধরে এই পদে আছেন।”

“নেতৃত্বের বিকাশ ঘটানো কিংবা ক্ষমতা ও রাজনৈতিক ব্যবস্থায় গণতন্ত্র ফেরানোর জন্যই অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের পরামর্শে দুই মেয়াদ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার বিষয়টি যুক্ত করেছে সংস্কার কমিশন।”

দুই মেয়াদে বিএনপির আপত্তি কেন?

ঐকমত্য কমিশনের কাছে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা, উপরাষ্ট্রপতি ও উপপ্রধানমন্ত্রী পদ সৃজনসহ ৬২টি সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি।

মঙ্গলবার ওই সুপারিশ জমা দেয়ার পর বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তারা চান যে টানা তিন মেয়াদ কেউ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। তবে এক মেয়াদ বাদ দিয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হওয়া যাবে।

বাংলাদেশের বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি পদের ক্ষেত্রেও দুই মেয়াদ সময় বেঁধে দেয়া আছে। শুধু প্রধানমন্ত্রী পদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন মেয়াদ বলা বলা নাই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন,”আমাদের প্রস্তাবনা পরপর দুই বার যদি কেউ প্রধানমন্ত্রী হন তাহলে তাকে একবার গ্যাপ (বিরতি) দিতে হবে। তারপর আবার প্রধানমন্ত্রী হতে বাধা নেই।”

“এটাকে অনেকে মনে করতে পারে আমরা লাইফ টাইমে দুইবারের কথা বলেছি। বিষয়টা তেমন না। তার মানে পরপর তিনবার কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না,” যোগ করেন তিনি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ অবশ্য মনে করেন কোনো দলের মধ্যে যদি অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চা বজায় থাকে অন্যদিকে শতভাগ নিরপেক্ষ ভোটে যদি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তাহলে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে সংস্কার কমিশন বিবেচনা করতে পারে।

নির্বাচন ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মুনিরা খান বিবিসি বাংলাকে বলেন, “টানা দুই মেয়াদে একটা প্রধানমন্ত্রী থাকা উচিত না। কিন্তু পরবর্তীকালে সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে যদি কোনো নেতার দল ক্ষমতায় আসে সেই দলের মধ্যে যদি সুষ্ঠু গণতন্ত্র চর্চা থাকে এবং তিনি যদি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে জয়লাভ করেন, তার পদে বসার অধিকার থাকা উচিত।”

যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী পদে এক ব্যক্তি দুই বারের বেশি থাকতে পারেন না।

একই সঙ্গে কেউ প্রধানমন্ত্রী, রাজনৈতিক দলের প্রধান ও সংসদ নেতা হতে পারবেন না বলে সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছে, সে বিষয়েও ভিন্নমত জানিয়েছে বিএনপি। এটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব সিদ্ধান্তের বিষয় বলে মত তাদের।

সরকারের মেয়াদকাল নিয়েও আপত্তি

এক ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ বন্ধ ছাড়া সংস্কার কমিশন যে সুপারিশ প্রস্তুত করেছে সেখানে তারা প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে চার বছর করারও প্রস্তাব করেছে।

বিএনপি ঐকমত্য কমিশনে যে প্রস্তাব জমা দিয়েছে, তাতে তারা সরকার কিংবা প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ নিয়ে দলের পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে চার বছর করারও বিরোধিতা করেছে।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্যের যে প্রস্তাব সেই প্রক্রিয়াতেও সায় নেই দলটির।

কিন্তু বিএনপি কেন সরকারের চার বছর মেয়াদ নিয়ে আপত্তি তুলেছে সেই প্রশ্নও ছিল দলটির নেতাদের কাছে।

জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশে যে পাঁচ বছর মেয়াদের বিষয়টি আছে সেটাই স্টান্ডার্ড, আমরা ওভার নাইট পরিবর্তন করে ফেলতে পারবো না।”

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সরকারের মেয়াদ যদি এক বছর কমানো হয় তাতে দেখা যাবে যে অনেক সরকারই সফলতার সাথে প্রকল্প গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও সরকার পরিচালনা করতে পারবে না। কারণ এমন অনেক পরিকল্পনা রয়েছে যেটা বাস্তবায়নের জন্য চার বছর যথেষ্ট সময় পাবে না”।

তবে সংস্কার কমিশনের যুক্তি, পাঁচ বছর অনেক দীর্ঘ সময়। কখনো যদি কোনো সরকার ব্যর্থতার প্রমাণ দেয় তখন সেই সরকারের মেয়াদ শেষ কিংবা তার পতনের জন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে অপেক্ষা করতে হয়।

ফলে দেশের মধ্যেও এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয় নির্বাচনের জন্য।

ড. আব্দুল আলীম বিবিসি বাংলাকে বলেন, “চার বছর যথেষ্ট সময়। সে যদি চায় চার বছরে অনেক কিছু করতে পারে। তাতে অন্য দল বিরক্ত হয় না। সব কিছু বিবেচনায় থেকে আমরা এই ধরনের প্রস্তাব করেছি”।

আর বিশ্লেষক মুনিরা খান বলেন, “পাঁচ বছর অনেক দীর্ঘ সময়। কোনো দল একটানা পাঁচবছর ক্ষমতায় থাকলে স্বৈরাচারের বীজও বপনের সুযোগ থাকে।”

সূত্র: বিবিসি বাংলা

দূর্গা পূজা উপলক্ষে শ্রীনগরে মন্দির পরিদর্শনে র‍্যাব-১০ এর অধিনায়ক

আসাদুজ্জামান জীনব
প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:১১ অপরাহ্ণ
দূর্গা পূজা উপলক্ষে শ্রীনগরে মন্দির পরিদর্শনে র‍্যাব-১০ এর অধিনায়ক

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় দূর্গা পূজা উপলক্ষে পূজা মণ্ডপ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছেন র‍্যাব১০ এরঅধিনায়ক (সিও) মোঃ কামরুজ্জামান।

রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিনি প্রথমে উপজেলার প্রাচীন ভাগ্যকুল হরেন্দ্র লাল রায় মন্দির পরিদর্শন করেন। সময়সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র‍্যাব১০ এর অধিনায়ক জানান, র‍্যাব১০ এর আওতায় প্রায় ৩৪টি থানা রয়েছে। এর মধ্যেঢাকেশ্বরী মন্দিরসহ বেশ কয়েকটি বড় পূজামণ্ডপ রয়েছে, যেগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুই থেকে তিন ধাপে জোরদার করাহয়েছে।

তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র পোশাকধারী র‍্যাব সদস্য নয়, সিভিল ড্রেসেও সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এখন পর্যন্তকোনো হুমকি বা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‍্যাব সর্বদা প্রস্তুতরয়েছে।

প্রাচীন এই মন্দির পরিদর্শন শেষে তিনি ভাগ্যকুল ঘোষবাড়ি মন্দির, নতুন বাজার যদুনাথ রায় মন্দিরসহ এলাকার আরওকয়েকটি পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখবেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে র‍্যাব১০ এর সিপিসি এর ভাগ্যকুল ক্যাম্প কমান্ডার মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, বর্তমানে ক্যাম্প এলাকায়চারটি টহল টিম কাজ করছে। পাশাপাশি পোশাকধারী সদস্যদের সঙ্গে সিভিল সদস্যরাও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।

শ্রীনগরে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

জিদান আহমেদ, শ্রীনগর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:৪২ অপরাহ্ণ
শ্রীনগরে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

শ্রীনগর উপজেলা  বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে  মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বাইপাস খান বাড়ির মাঠে এ মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাফিজুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মুন্সিগঞ্জ ১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। এ সময় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল বাতেন খান শামিম, শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম কানন, উপজেলা বিএনপি সহ-সভাপতি আশরাফ হোসেন মিলন, যুগ্ন সম্পাদক জহুরুল ইসলাম মামুন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন জেমস,সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ মামুন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ফয়সাল আহমেদ রনি, সদস্য সচিব এমদাদুল ইসলাম রজিন, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম শুভ, উপজেলা জাসাস এর সভাপতি শফিউল আলম আজম প্রমুখ।

শ্রীনগরের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চারজনকে কুপিয়ে আহত

শ্রীনগর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:৪০ অপরাহ্ণ
শ্রীনগরের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে  চারজনকে কুপিয়ে আহত

মুন্সীগঞ্জ জেলার  শ্রীনগরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের  জেরে এক নারীসহ চারজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহতকরেছে প্রতিপক্ষ। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের পূর্ব মুন্সীয়া গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটে।আহতদেরউদ্ধার করে স্থানীয়রা শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ নুর ইসলাম খান(৩৩) আল মাহমুদ (২৩) নামে দুই ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে। ভুক্তভোগী শাহজালাল খান বাদী হয়ে কুকুটিয়াইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন আলমকে প্রধান আসামি করে আটজনের বিরুদ্ধে শ্রীনগর থানায়একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বাদী শাহজালাল খানের পরিবারের সঙ্গে প্রতিপক্ষের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন আলমের নির্দেশে নুর ইসলামখান, মানিক খান, আল মাহমুদ, ওমর ফারুক বাবু, ডলার শেখসহ ১২/১৫ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শাহজালালের বাড়িতেহামলা চালায়। সময় হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার পরিবারে নারীসহ চারজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহতকরে। সময় এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহত  আজিজুল (২৪), আরাফাত (১৯), মিমআক্তার (১৫) পারভেজ (২৫) কে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। এই বিষয়ে অভিযুক্ত কুকুটিয়াইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সকলঅভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ষড়যন্ত্র করছে। শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. নাজমুল হুদা খান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করে থানায় নিয়েআসে। তিনি আরও বলেন, “ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।