খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ, ১৪৩২

শ্রদ্ধায় সিক্ত হতে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৬ পূর্বাহ্ণ
শ্রদ্ধায় সিক্ত হতে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

এক প্রহর পরেই লাখো বাঙালির রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের এদিনে পরাধীনতার শিকল ছিঁড়ে মুক্তির স্বাদ পায় এই জাতি।

মানচিত্রে জায়গা দখল করে নেয় স্বাধীন লাল-সবুজের বাংলাদেশ। আর যাদের আত্মত্যাগে স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছে বাঙালি, তাদের এই দিনে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করবে গোটা জাতি। তাই স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে প্রতিবারের মতো সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধকে সাজানো হয়েছে বাহারি সাজে। ধুয়ে-মুছে করা হয়েছে পরিপাটি। পুরো সৌধ প্রাঙ্গণে রোপণ করা হয়েছে লাল-নীল-হলুদ ফুলগাছ। পুরো সৌধ এলাকায় বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।

 

বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টাসহ বিদেশি কূটনৈতিকরা। শ্রদ্ধা নিবেদনে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও অনুশীলন করছেন শেষ মুহূর্তের কুচকাওয়াজ।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে পুরো সৌধ এলাকা সাজানো হয়েছে বাহারি রঙে। চিত্রকর্মীর নিপুণ তুলির আঁচড়ে বিজয়ের রূপ নিয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। সাভার গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা প্রায় মাস ধরে গাছপালা কেটে-ছেঁটে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। পুরো সৌধ প্রাঙ্গণের লাল ইটের স্থাপনা ধুয়ে-মুছে পরিপাটি করে তুলেছেন এক দল পরিচ্ছন্নকর্মী।

পুরো সৌধ এলাকায় লাল-নীল ও হলুদসহ নানা রঙের ফুল গাছের সহস্রাধিক চারার মাধ্যমে বিজয়ের সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। এসব প্রস্তুতি দেখে মনে হয় শ্রদ্ধা গ্রহণে বুক পেতে আছে বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা। 

স্মৃতিসৌধের পরিচ্ছন্নকর্মী মো. শহিদুল বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আমরা প্রায় মাসব্যাপী জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিভিন্ন ধরনের কাজ করেছি। স্মৃতিসৌধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজসহ বিভিন্ন কাজ করে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রস্তুত করে তোলা হয়েছে। রাতের স্মৃতিসৌধে ভিন্ন রূপ আনতে লাল-নীল আলোকবাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। আমিসহ আরও অনেক শ্রমিক দলে দলে বিভক্ত হয়ে আমরা স্মৃতিসৌধে কাজ করেছি। প্রতিবছরই আমরা এই কাজ করে থাকি। এই কাজ করকে পেরে আমরা গর্বিত।

পরিচ্ছন্নকর্মী হালিমা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রতিবছর দুই দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ধোয়া-মোছার কাজ করে থাকি। যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি তাদের কবর ও স্মৃতির স্তম্ভ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করি। আমি বাকি জীবনে এই শহীদদের কবর যেন পরিষ্কার করতে পারি, তাদের জন্য কাজ করতে পারি এটাই চাই। তাহলে জীবনকে স্বার্থক মনে করবো। আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি, সে সময় হয়তো আমি থাকলে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতাম। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে পারিনি, কিন্তু এই যুদ্ধে আত্মত্যাগীদের জন্য কাজ করতে পেরেছি। এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া।

জাতীয় স্মৃতিসৌধের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে প্রস্তুত করার জন্য ১৬ মার্চ থেকে স্মৃতিসৌধে জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও বিদেশি কূটনৈতিকরা শ্রদ্ধা জানানোর পর সবার জন্য স্মৃতিসৌধের ফটক উন্মুক্ত করা হবে। ইতোমধ্যে সৌধ প্রাঙ্গণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, আলোকসজ্জা ও সিসিটিভি স্থাপনসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

নিরাপত্তার বিষয়ে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন) সিদ্দিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে পুলিশের পক্ষ থেকে চার স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গাজীপুরসহ আশপাশের ১৮ জেলার কয়েক হাজার পুলিশ সদস্য জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসেছেন। পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশের বিভিন্ন গোয়েন্দা ইউনিটের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ১২টি ইউনিট হয়ে পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার কাজ করবেন। জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় চলাচল নির্বিঘ্ন করতে বিভিন্ন ট্রাফিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এবার কোনো হুমকি না থাকলেও বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতা রোধে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

শ্রীনগর বিএনপি’র বিজয় রেলি

শ্রীনগর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ৯:৫৬ অপরাহ্ণ
শ্রীনগর বিএনপি’র বিজয় রেলি

জুলাই আগস্ট ২৪ ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ  সরকারের পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগরে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের  উদ্যোগে বিশাল একটি রেলি বের হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে শ্রীনগর কলেজ গেট এলাকা থেকে মুন্সিগঞ্জ ১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী  উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  আলহাজ্ব মমিন আলী নেতৃত্বে রেলিটি বের হয়ে ছনবাড়ি চৌরাস্তা এসে শেষ হয়। রেলিত অংশগ্রহণ করেন, মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সিরাজদিখান  উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক  মোঃ জসিম উদ্দিন, মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক  মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন মোল্লা, সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বান কমিটির
সদস্য সচিব আলী আনসার মোল্লা, শ্রীনগর উপজেলা বিএনপি সাবেক সহ-সভাপতি আমির আলি মৃধা, কফিল বেপারী, মনসুর মাঝি, শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতিন, মনিরুল আলম, আবুল হোসেন তালুকদার, শেখ মোঃ জনি প্রমুখ।

শ্রীনগরে পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষিত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসি ইউনিটে ভর্তি

শ্রীনগর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১২:৩০ পূর্বাহ্ণ
শ্রীনগরে পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষিত  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসি ইউনিটে ভর্তি
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে চকলেট খাওয়ানো লোভ দেখিয়ে পাঁচ বছর এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করেছে আলাল(১৮) নামক এক বখাটে। শিশুটি বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।  বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শ্রীনগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিশুটির মা। মামলায় ফৈনপুর এলাকার ফজল খানের পুত্র বখাটে আলালকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাজমুল হুদা খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আসামি পলাতক থাকায় তাকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে পাটাভোগ ইউনিয়নের ফৈনপুর এলাকায় অন্যান্য দিনের মত শিশু কন্যাকে নিয়ে তার মা বাসাবাড়িতে কাজ করতে যান।  এসময় মেয়েটিকে চকোলেট ও মোবাইলে গেমস খেলার লোভ দেখিয়ে স্থানীয় আলাল পাশের বাড়ির নির্জন একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটির মা কান্নার শব্দ শুনে নির্জন ওই ঘরে গেলে ধর্ষক আলাল শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেসে নিয়ে গেলে,কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য  ঢাকা মিটফোর্ড স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় শিশুটিকে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জে কারাবন্দি অবস্থায় অসুস্থ আ.লীগ নেতা, হাসপাতালে মৃত্যু

আমার বাংলা অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ৩:০২ অপরাহ্ণ
মুন্সীগঞ্জে কারাবন্দি অবস্থায় অসুস্থ আ.লীগ নেতা, হাসপাতালে মৃত্যু

মুন্সীগঞ্জে কারাবন্দি অবস্থায় অসুস্থ হওয়া পর সারোয়ার হোসেন নান্নু (৬৫) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা ও হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার ভোর ৪টার দিকে কারাগার থেকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আতাউর গনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নান্নু সদর উপজেলার মিরেশ্বরাই এলাকার রাজ্জাক মোল্লার ছেলে ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গত বছরের ৪ আগস্টে মুন্সীগঞ্জে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় একটি হত্যা মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন।

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, মুমূর্ষু অবস্থায় ওই রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। প্রাথমিকভাবে রোগীর উপসর্গ দেখে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে অনুমান করা গেছে। মরদেহ মর্গে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এদিকে পরিবারের দাবি, নান্নু রাতে অসুস্থ হলেও কারা কর্তৃপক্ষ তাদের জানায়নি। বরং সকালে মৃত্যুর পর তাদের জানানো হয়েছে।

নান্নু ভাতিজা শাহরিয়ার জানান, যেহেতু মৃত্যুর অনেক পরে জানানো হয়েছে, তাই সঠিক কোথায় কীভাবে মারা গেছে; তা নিয়ে সন্দিহান আমরা। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে স্বজনরা।

মুন্সীগঞ্জ কারাগারের জেলসুপার মুহাম্মদ এনায়েত উল্ল্যাহ জানান, বুকের ব্যথার কারণে আজ রোববার ভোর রাত সাড়ে ৩ টায় জেলখানা থেকে হাসাপাতালে নিলে ৪ টার দিকে তিনি মারা যান। অসুস্থের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারকে জানানো সম্ভব হয়নি। কারণ, তখন তার চিকিৎসার জন্যই সবাই ব্যস্ত ছিল।