খুঁজুন
বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ২৬ চৈত্র, ১৪৩১

আপিল

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫, ২:৪৭ অপরাহ্ণ
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ

বুধবার (১৯ মার্চ) পৃথক আবেদন আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী শিশির মনির।

এর আগে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ১ ডিসেম্বর ওই রায় দেন। ১৯ ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়।

এরপর  রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। গত ১৩ মার্চ আবেদন দুটি আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান।

ঘটনা ও বিচার প্রক্রিয়া

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাটি চালানো হয়। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা।

তবে হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক, সাবেক রাষ্ট্রপতি (প্রয়াত) জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী। ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়।

তদন্ত শেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ১১ জুন দেওয়া অভিযোগপত্রে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টু, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন ও হুজি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। দুই বছর তদন্তের পর ২০১১ সালের ৩ জুলাই ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এর ফলে এ মামলায় মোট আসামির সংখ্যা হয় ৫২।

মোট ৫২ আসামির মধ্যে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও মুফতি হান্নান এবং তার সহযোগী শাহেদুল ইসলাম বিপুলের মৃত্যুদণ্ড অন্য মামলায় কার্যকর হয়। তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় এ মামলার আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৯ জনে।

এ ঘটনার মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর দেওয়া বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন -লুৎফুজ্জামান বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টু, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন, হুজির সাবেক আমির ও ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক মাওলানা শেখ আবদুস সালাম (কারাগারে মারা যান), কাশ্মীরি জঙ্গি আব্দুল মাজেদ ভাট, আবদুল মালেক ওরফে গোলাম মোস্তফা, মাওলানা শওকত ওসমান, মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান, মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. জাফর, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, হোসাইন আহমেদ তামিম, মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. উজ্জ্বল, এনএসআই’র সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম (কারাগারে মারা যান), হানিফ পরিবহনের মালিক বিএনপি নেতা মোহাম্মদ হানিফ।

পরিকল্পনা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩০২/১২০খ/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাদের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন আদালত।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, হুজি সদস্য হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, শাহাদাৎ উল্লাহ ওরফে জুয়েল, মাওলানা আবদুর রউফ (কারাগারে মারা যান), মাওলানা সাব্বির আহমেদ, আরিফ হাসান ওরফে সুমন, আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম মাওলাদার, মো. আরিফুল ইসলাম, মহিবুল মুত্তাকিন ওরফে মুত্তাকিন, আনিসুল মুরছালিন ওরফে মুরছালিন, মো. খলিল ওরফে খলিলুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মো. ইকবাল ওরফে ইকবাল হোসেন, লিটন ওরফে মাওলানা লিটন, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই, রাতুল আহমেদ ওরফে রাতুল বাবু।

তাদের দণ্ডবিধির ৩০২/১২০খ/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এছাড়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) মো. আশরাফুল হুদা ও শহুদুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসন ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ভাগনে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, ডিজিএফআই’র মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আমিন, ডিএমপির সাবেক উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) খান সাঈদ হাসান, আরেক সাবেক উপ-কমিশনার (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক খোদা বক্স চৌধুরী, সিআইডির সাবেক বিশেষ সুপার মো. রুহুল আমিন, সাবেক এএসপি আবদুর রশিদ, সাবেক এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমানকে দুই বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আরেকটি ধারায় খোদা বক্স চৌধুরী, রুহুল আমিন, আবদুর রশিদ ও মুন্সি আতিকুর রহমানকে তিন বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

পরে ওই বছরের ২৭ নভেম্বর মামলার বিচারিক আদালতের রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছে। পাশাপাশি কারাবন্দি আসামিরা আপিল করেন।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি শুরু হয়। এরপর ১ ডিসেম্বর দুটি মামলায় রায় দেন হাইকোর্ট।

সাংবাদিককে যুবদল নেতার হুমকি

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ২:০৪ পূর্বাহ্ণ
সাংবাদিককে যুবদল নেতার হুমকি

পটুয়াখালীতে কাজে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে সরেজমিন পরিদর্শনে যাওয়ায় পটুয়াখালীর বাউফল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি, এশিয়ান টিভি ও দৈনিক দেশ রূপান্তরের বাউফল উপজেলা প্রতিনিধি মো. সিদ্দিকুর রহমানকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন পটুয়াখালী জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির সোহাগ। 

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে মুঠোফোনে তিনি ওই সাংবাদিককে হুমকি প্রধান করেন। তাদের কথোপকথনের একটি অডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই অডিওতে যুবদল নেতা সোহাগকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি জেলা যুবদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক। ১৭ বছর পর একটি কাজ পেয়েছি। আপনি কেন কাজের সাইডে গেছেন। কিসের জন্য জাবেন? অনিয়ম করলে অফিস দেখবে আপনি কেন জাবেন। আপনি কি সিভিল ইজ্ঞিনিয়ার? সাংবাদিকদের কাজ কি সাইডে। সাইডে খোট খাইতে যাও? আমি আসতেছি তুই ওখানে থাক। খোট খাওয়াইতে আছি তুই থাক। তুই অফিসে যোগাযোগ কর।  তুই সাংবাদিক অন্য কাজ কর। সাইডে গেলে তোকে কিরতে হবে সেটা দেখাইতেছি। অচ্ছা তুই থাক আমি বাউফল আসতেছি তুই থাক। তোকে দেখব।’

এছাড়াও অকথ্য ভাষায় ওই সাংবাদিককে গালমন্দ করেন তিনি।

এ ঘটনায় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গনমাধ্যম কর্মীগন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একজন ঠকাদার কিভাবে দলের পরিচয় ভাঙ্গিয়ে সাংবাদিকের সাথে এহেন খারাপ আচরণ করতে পারেন? কাজের সঠিক পরিবেশ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা। বিষয়টিকে বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতাদের গুরুত্বসহকারে দেখার অনুরোধ জানান তারা।

সাংবাদিক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে ঠিকাদার সোহাগ নামের পটুয়াখালী ভিত্তিক ঠিকাদারকে ফোন করলে তিনি ওই হুমকি দেন।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন বলেন, সাংবাদিকরা হচ্ছে সমাজের দর্পণ। তারা সমাজের বিভিন্ন অসংঙ্গতি তুলে ধরবেন। তাদের পেশাগত কাজে কেউ বাধা দেওয়া কিংবা হুমকি দেওয়ার বিষয় যুবদল সমর্থন করে না। এমন ঘটনা ঘটে থাকলে সেটা দুঃখজনক।

বাউফল থানার ওসি কামাল হো‌সেন ব‌লেন, বিষয়‌টি ফেসবু‌কে ভাইরাল হ‌য়ে‌ছে। আমি দে‌খে‌ছি। এখনও অভি‌যোগ পাইনি। অভিযোগ পে‌লে ব‌্যবস্থা গ্রহণ করা হ‌বে।

থানা থেকে আসামি ছিনিয়ে নিল ছাত্রদল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১:৪১ পূর্বাহ্ণ
থানা থেকে আসামি ছিনিয়ে নিল ছাত্রদল

নাটোরের লালপুরে গ্রেপ্তারের পর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল উদ্দিনকে থানা থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। 

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে লালপুর থানায় এ ঘটনা ঘটে। রুবেল উপজেলার গৌরিপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ ডিসেম্বর বাগাতিপাড়া উপজেলায় বিএনপি নেতার বাড়িতে গুলিবর্ষণের ঘটনায় রুবেলকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে ছাত্রদল ও যুবদলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী থানায় উপস্থিত হয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে চাপ দেয়। এ সময় অসম্মতি জানালে এক পর্যায়ে হট্টগোল করে থানা থেকে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা।

এ বিষয়ে নাটোর পুলিশ সুপার আমজাদ হোসেন বলেন, নারীসহ কিছু লোক পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। ছিনিয়ে নেওয়া আসামিসহ যারা এ ঘটনায় জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

বাণিজ্যিকভাবে ‘স্টারলিংক ইন্টারনেট’ চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১:২৭ পূর্বাহ্ণ
বাণিজ্যিকভাবে ‘স্টারলিংক ইন্টারনেট’ চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে চালুর নির্দেশনা দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক বার্তায় এ কথা জানান।

প্রেস সচিব আরও জানান, পরীক্ষামূলক সম্প্রচারে স্টারলিংক তার বিদেশি স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড গেটওয়ে ব্যবহার করলেও বাংলাদেশে বাণিজ্যিক সেবাদানকালে, নন-জিওস্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) নীতিমালা মেনে কোম্পানিটি স্থানীয় ব্রডব্যান্ড গেটওয়ে বা আইআইজি ব্যবহার করবে।

এর আগে গত ২৩ মার্চ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আগামী ৯ এপ্রিল থেকে দেশে স্টারলিংক ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু হবে।