খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

প্রধান উপদেষ্টা

শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা মস্ত বড় ইস্যু: প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৪:৫৪ অপরাহ্ণ
শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা মস্ত বড় ইস্যু: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসকদের সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বা শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা মস্ত বড় ইস্যু। এটা আমাদের এখন এক নম্বর বিবেচ্য বিষয়। এখানে যেন আমরা বিফল না হই, কারণ এটাতেই আমাদের সমস্ত অর্জন।’

আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সকল নাগরিকের সুরক্ষা বিধান করা সরকারের দায়িত্ব উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘আমরা এখন থেকে যেসব কর্মসূচি গ্রহণ করবো, সেখানে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার থাকবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও দেশের সকল মানুষকে সুরক্ষা প্রদান করা। নারী ও শিশু এবং সংখ্যালঘুসহ সকল নাগরিকের সুরক্ষা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। কে কোন মতবাদে বা রাজনৈতিক চেতনায় বিশ্বাসী সেটা বিবেচ্য নয়। কারণ সরকার দেশের সকল মানুষের সরকার। তাই তাকে সুরক্ষা দেওয়া আমার কাজ’।

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার যেন ক্ষুন্ন না হয় সেদিকে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেন তিনি। ড. ইউনূস বলেন, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়া মস্ত বড় দায়িত্ব। এই ইস্যুতে সারা দুনিয়া নজর রাখছে আমাদের উপরে। একটা ছোট্ট ঘটনা সারা দুনিয়ায় চাউর হয়ে যায়।

তিনি বলেন, ‘আমি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বলেছি আপনারা সংখ্যালঘু হিসেবে কোন কিছু দাবি করবেন না, দেশের নাগরিক হিসেবে দাবি করবেন। কারণ দেশের নাগরিক হিসেবে সংবিধান আপনাকে যে অধিকার দিয়েছে সেই অধিকার রাষ্ট্রের কাছে আপনার প্রাপ্য। এটা দাবি নয়, আপনার পাওনা’।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এটা নিয়ে জেলা প্রশাসকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হতে পারে কার জেলায় বাজারদর কতটা ভাল নিয়ন্ত্রণে আছে। কোনো চাঁদাবাজি বা অন্য যেসব অসুবিধা থাকে সেগুলো দূর করতে হবে’।

পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

প্রধান উপদেষ্টা সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে বলেন, পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে এখন যে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগছে না, এই তথ্য মাঠে-ঘাটে জনসাধারণের মধ্যে পৌঁছে দিতে হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে হয়রানি হয়, এটি বন্ধ করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদের মত পাসপোর্ট পাওয়া প্রতিটি মানুষের অধিকার।

সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরি করার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসকদের অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে সৃজনশীল কাজ করার সুযোগ তোমাদের পুরো মাত্রায় রয়েছে। আশা করি তোমরা সেটা গ্রহণ করবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, বাজারদর নিয়ন্ত্রণ, জমির রেকর্ড পত্র থেকে শুরু করে অন্যান্য সেবা অনলাইনে প্রদান, প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধিসহ সরকারি সেবাকে জনবান্ধব করার ক্ষেত্রে সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে সুস্থ প্রতিযোগিতা হতে পারে।

জন্ম সনদ একজন নাগরিকের অবশ্যই প্রাপ্য উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যে কোনো বয়সে এবং যে কোনো সময়ে একজন নাগরিক জন্ম সনদ চাইতে পারে। তাকে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। জন্ম সনদ একজন নাগরিকের দালিলিক প্রমাণ যে ওই ব্যক্তি এই দেশের নাগরিক। কারণ এই জন্ম সনদ দিয়েই তার অন্যান্য কাজ করতে হবে। এটা না হলে জাতীয় পরিচয়পত্র হচ্ছে না, পাসপোর্ট হচ্ছে না। জন্ম সনদ পেতে একজন হয়রানির শিকার হচ্ছে কি না সেটা দেখতে হবে।

সরকারকে একটা ‘খেলার টিম’ অভিহিত করে অধ্যাপক ইউনূস জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বলেন, ‘সরকারকে যদি একটা ক্রিকেট বা ফুটবল টিমের সঙ্গে তুলনা করা হয় তাহলে এটা একটি টিম। এই সরকারের ছয় মাস চলে গেলো, এটাকে আমি বলছি সরকারের প্রথম পর্ব।

প্রথম পর্বের কোন ভুল থাকলে সেটাকে ঠিকঠাক করে এখন আমরা খেলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। এখন কাজ হলো কর্মপদ্ধতি ঠিক করা। খেলা হলো একটা সামগ্রিক বিষয়, একজনের ভুলের কারণে অন্যরা সাফল্য থেকে বঞ্চিত হয়। পুরো টিমের সাফল্যটা গন্তব্যে পৌঁছাতে হবে। প্রস্তুতির কোথাও ঘাটতি থাকলে সেটাকে পূরণ করা দরকার’।

প্রধান উপদেষ্টা জেলা প্রশাসকদের ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে নিজের মতো করে মাঠ প্রশাসন পরিচালনা করার আহ্বান জানান। একইসাথে তিনি সরকার প্রধান বা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অহেতুক স্তুতি বা প্রশংসা করার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম ও পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক ছাবেদ আলী বক্তব্য রাখেন।

নোয়াখালীতে প্রয়াত বিএনপি নেতার পরিবারের পাশে ব্যারিস্টার সায়েম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ১০:২০ অপরাহ্ণ
নোয়াখালীতে প্রয়াত বিএনপি নেতার পরিবারের পাশে ব্যারিস্টার সায়েম

নোয়াখালীতে প্রয়াত বিএনপি নেতার পরিবারের পাশে ব্যারিস্টার সায়েম

নোয়াখালী জেলা শ্রমিক দলের সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আবু নাছেরের (রাসেল) পরিবারের সাথে  আজসোমবার (০৯ জুন) দেখা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা বিএনপি মিডিয়া সেল সদস্য ব্যারিস্টার আবু সায়েম।

ব্যারিস্টার আবু সায়েম প্রয়াত রাসেলের নোয়াখালী কলেজ রোডের বাসায় যান। সেখানে মরহুমের কন‍্যা রাইসা, ভাই মো. রায়হান পরিবারের অন‍্যান‍্য সদস্যদের সাথে কথা বলেন তিনি। এসময় তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি সমবেদনাজানান তিনি।

এছাড়া ব্যারিস্টার সায়েম বলেন, নেতাকর্মীরা দলের প্রাণ। দুঃসময়ে বিএনপি তাদের পাশে থাকবে।

উল্লেখ‍্য, গত ১৬ মে ব্রেন স্ট্রোক করলে উচ্চতর চিকিৎসার জন‍্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয় রাসেলকে। সেখানে কর্তব্যরত‍ ডাক্তারতাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী এক কন‍্যাসন্তান রেখে যান রাসেল। তার বয়স ছিল ৪৪। রাসেলের পরিবারনোয়াখালী পৌরসভার নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তার বাবা মরহুম আব্দুল মালেক (বস মালেক)

৫৯ সদস্য নিয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ৯:৫৮ অপরাহ্ণ
৫৯ সদস্য নিয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি

মিজানুর রহমান সিনহাকে আহবায়ক মহিউদ্দিন আহম্মেদকে সদস্য সচিব করে মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির ৫৯ সদস্য বিশিষ্টপূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদিত হয়েছে।

শুক্রবার ( জুন) বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়েছে।

আহবায়ক কমিটির সদস্যরা হলেনশেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, মো. শহীদুল ইসলাম মৃধা, . বাতেন খান শামীম, সৈয়দসিদ্দিক উল্লাহ ফরিদ, রহিমা শিকদার, মো. আমির হোসেন দোলন, মো. আতোয়ার হোসেন বাবুল, কে এম ইরাদত মানু, মো. জসিম উদ্দিন, মো. শহীদুল ইসলাম, আতাউর রহমান মল্লিক, অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন, সাইদুর রহমান ফকির, হাবিবুররহমান অপু চাকলাদার, এম হায়দার আলী, এম হাফিজুল ইসলাম খান, শাহজাহান বেপারী, আলহাজ্ব মমিন আলী, আব্দুলকুদ্দুস ধিরন, এম শুভ আহমেদ, আব্দুস সালাম মোল্লা, ওমর ফারুক অবাক, সুলতান আহমেদ, আনোয়ার হোসেন ভুইয়া, দুলাল দাস, মাসেকুর রহমান দুলু মো. মজিবুর রহমান।

এছাড়াও কমিটির অন্য সদস্যরা হলেনআবু বাক্কার মাদবর, মো. ওবায়দুল রহমান বকুল, হাজী মো. রাশেদ, বোরহান উদ্দিনভুইয়া, জহিরুল ইসলাম লেলিন, মনিরুজ্জামান মনির, মো. ফারুক হোসেন মোড়ল, শেখ জামাল, মো. রফিকুল ইসলাম মাসুম(ভিপি), মো. ইসহাক আলী (চেয়ারম্যান), মেজর (অব.) মাসুদুর রহমান কাইয়ুম, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোশারফহোসেন পুস্তি, মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, মো. আবু সুফিয়ান কাজী বিপ্লব, মো. মাহবুবুর রহমান খান, আতাউর হাওলাদার, নুরে আলম ঢালী, মো. আহসান উল্ল্যাহ্, মো. শাহাদাৎ হোসেন সরকার, ঢালী মো. ওয়াহিদ, মুহাম্মদ মাসুদ ফারুক, শামীমহাবিব, আওলাদ হোসেন উজ্জল, অ্যাডভোকেট জসিম মোল্লা, তাজুল ইসলাম, সেলিনা আক্তার বিনা, পাপিয়া ইসলাম, মুকুলআক্তার অনা লাকী আক্তার।

এর আগে বৃহস্পতিবার ( জুন) সন্ধ্যায় পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে জেলায় বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি এক জেলায় বিএনপিরপূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে খায়রুল কবির খোকনকে সভাপতি মঞ্জুর এলাহীকে সাধারণ সম্পাদক করেনরসিংদীতে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শ্রীনগরে শিশুদের মাঝে ঈদের পোশাক বিতরণ করলেন সংগঠক জসিম মোল্লা

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ
শ্রীনগরে শিশুদের  মাঝে ঈদের পোশাক বিতরণ করলেন সংগঠক জসিম মোল্লা

শ্রীনগর উপজেলার দেউলভোগ স্বপ্নপূরী সিনেমা হলের সামনে বৃহস্পতিবার বিকাল ঘটিকায় ফ্রেন্ডস্ সমাজকল্যাণ সংসদেরপ্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং এপেক্স ক্লাব অব শ্রীনগর এর ফাউন্ডার সেক্রেটারী সংগঠক মোঃ জসিম মোল্লা কম আয়ের বেদে সম্প্রদায়ের শতাদিক বাচ্চাকে ঈদের শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে নতুন পোশাক বিতরণ করেন। বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিতথেকে সহযোগিতা করেন ফ্রেন্ডস সমাজকল্যাণ সংসদের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বাবু, রিমন হোসেন, সাইদুল ইসলাম হিরো, রাজিব খান, রুবেল খান, পরশ খান, লিংকন, রনি, মিঠু খানসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

বিতরণ কালে মোঃ জসিম মোল্লা বলেন আমার ঈদের আনন্দ ভাগ করে দিতে আমরা প্রতি উৎসবেই কম আয়ের মানুষকেনানাভাবে সহযোগিতা করে থাকি, গত ঈদে বালাশুর শিশু পরিবারসহ তিন শতাদিক মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর চেষ্টাকরেছি, তিনি আরো বলেন সমাজের বিত্তবান ব্যাকিরা যদি সমাজের মানুষের প্রতি তাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করেতাহলে সমাজ এগিয়ে যাবে।