খুঁজুন
শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫, ১ ভাদ্র, ১৪৩২

প্রধান উপদেষ্টা

শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা মস্ত বড় ইস্যু: প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৪:৫৪ অপরাহ্ণ
শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা মস্ত বড় ইস্যু: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসকদের সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বা শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা মস্ত বড় ইস্যু। এটা আমাদের এখন এক নম্বর বিবেচ্য বিষয়। এখানে যেন আমরা বিফল না হই, কারণ এটাতেই আমাদের সমস্ত অর্জন।’

আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সকল নাগরিকের সুরক্ষা বিধান করা সরকারের দায়িত্ব উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘আমরা এখন থেকে যেসব কর্মসূচি গ্রহণ করবো, সেখানে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার থাকবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও দেশের সকল মানুষকে সুরক্ষা প্রদান করা। নারী ও শিশু এবং সংখ্যালঘুসহ সকল নাগরিকের সুরক্ষা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। কে কোন মতবাদে বা রাজনৈতিক চেতনায় বিশ্বাসী সেটা বিবেচ্য নয়। কারণ সরকার দেশের সকল মানুষের সরকার। তাই তাকে সুরক্ষা দেওয়া আমার কাজ’।

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার যেন ক্ষুন্ন না হয় সেদিকে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেন তিনি। ড. ইউনূস বলেন, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়া মস্ত বড় দায়িত্ব। এই ইস্যুতে সারা দুনিয়া নজর রাখছে আমাদের উপরে। একটা ছোট্ট ঘটনা সারা দুনিয়ায় চাউর হয়ে যায়।

তিনি বলেন, ‘আমি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বলেছি আপনারা সংখ্যালঘু হিসেবে কোন কিছু দাবি করবেন না, দেশের নাগরিক হিসেবে দাবি করবেন। কারণ দেশের নাগরিক হিসেবে সংবিধান আপনাকে যে অধিকার দিয়েছে সেই অধিকার রাষ্ট্রের কাছে আপনার প্রাপ্য। এটা দাবি নয়, আপনার পাওনা’।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এটা নিয়ে জেলা প্রশাসকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হতে পারে কার জেলায় বাজারদর কতটা ভাল নিয়ন্ত্রণে আছে। কোনো চাঁদাবাজি বা অন্য যেসব অসুবিধা থাকে সেগুলো দূর করতে হবে’।

পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

প্রধান উপদেষ্টা সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে বলেন, পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে এখন যে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগছে না, এই তথ্য মাঠে-ঘাটে জনসাধারণের মধ্যে পৌঁছে দিতে হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে হয়রানি হয়, এটি বন্ধ করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদের মত পাসপোর্ট পাওয়া প্রতিটি মানুষের অধিকার।

সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরি করার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসকদের অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে সৃজনশীল কাজ করার সুযোগ তোমাদের পুরো মাত্রায় রয়েছে। আশা করি তোমরা সেটা গ্রহণ করবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, বাজারদর নিয়ন্ত্রণ, জমির রেকর্ড পত্র থেকে শুরু করে অন্যান্য সেবা অনলাইনে প্রদান, প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধিসহ সরকারি সেবাকে জনবান্ধব করার ক্ষেত্রে সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে সুস্থ প্রতিযোগিতা হতে পারে।

জন্ম সনদ একজন নাগরিকের অবশ্যই প্রাপ্য উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যে কোনো বয়সে এবং যে কোনো সময়ে একজন নাগরিক জন্ম সনদ চাইতে পারে। তাকে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। জন্ম সনদ একজন নাগরিকের দালিলিক প্রমাণ যে ওই ব্যক্তি এই দেশের নাগরিক। কারণ এই জন্ম সনদ দিয়েই তার অন্যান্য কাজ করতে হবে। এটা না হলে জাতীয় পরিচয়পত্র হচ্ছে না, পাসপোর্ট হচ্ছে না। জন্ম সনদ পেতে একজন হয়রানির শিকার হচ্ছে কি না সেটা দেখতে হবে।

সরকারকে একটা ‘খেলার টিম’ অভিহিত করে অধ্যাপক ইউনূস জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বলেন, ‘সরকারকে যদি একটা ক্রিকেট বা ফুটবল টিমের সঙ্গে তুলনা করা হয় তাহলে এটা একটি টিম। এই সরকারের ছয় মাস চলে গেলো, এটাকে আমি বলছি সরকারের প্রথম পর্ব।

প্রথম পর্বের কোন ভুল থাকলে সেটাকে ঠিকঠাক করে এখন আমরা খেলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। এখন কাজ হলো কর্মপদ্ধতি ঠিক করা। খেলা হলো একটা সামগ্রিক বিষয়, একজনের ভুলের কারণে অন্যরা সাফল্য থেকে বঞ্চিত হয়। পুরো টিমের সাফল্যটা গন্তব্যে পৌঁছাতে হবে। প্রস্তুতির কোথাও ঘাটতি থাকলে সেটাকে পূরণ করা দরকার’।

প্রধান উপদেষ্টা জেলা প্রশাসকদের ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে নিজের মতো করে মাঠ প্রশাসন পরিচালনা করার আহ্বান জানান। একইসাথে তিনি সরকার প্রধান বা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অহেতুক স্তুতি বা প্রশংসা করার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম ও পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক ছাবেদ আলী বক্তব্য রাখেন।

শ্রীনগর বিএনপি’র বিজয় রেলি

শ্রীনগর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ৯:৫৬ অপরাহ্ণ
শ্রীনগর বিএনপি’র বিজয় রেলি

জুলাই আগস্ট ২৪ ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ  সরকারের পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগরে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের  উদ্যোগে বিশাল একটি রেলি বের হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে শ্রীনগর কলেজ গেট এলাকা থেকে মুন্সিগঞ্জ ১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী  উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  আলহাজ্ব মমিন আলী নেতৃত্বে রেলিটি বের হয়ে ছনবাড়ি চৌরাস্তা এসে শেষ হয়। রেলিত অংশগ্রহণ করেন, মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সিরাজদিখান  উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক  মোঃ জসিম উদ্দিন, মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক  মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন মোল্লা, সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বান কমিটির
সদস্য সচিব আলী আনসার মোল্লা, শ্রীনগর উপজেলা বিএনপি সাবেক সহ-সভাপতি আমির আলি মৃধা, কফিল বেপারী, মনসুর মাঝি, শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতিন, মনিরুল আলম, আবুল হোসেন তালুকদার, শেখ মোঃ জনি প্রমুখ।

শ্রীনগরে পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষিত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসি ইউনিটে ভর্তি

শ্রীনগর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১২:৩০ পূর্বাহ্ণ
শ্রীনগরে পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষিত  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসি ইউনিটে ভর্তি
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে চকলেট খাওয়ানো লোভ দেখিয়ে পাঁচ বছর এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করেছে আলাল(১৮) নামক এক বখাটে। শিশুটি বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।  বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শ্রীনগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিশুটির মা। মামলায় ফৈনপুর এলাকার ফজল খানের পুত্র বখাটে আলালকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাজমুল হুদা খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আসামি পলাতক থাকায় তাকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে পাটাভোগ ইউনিয়নের ফৈনপুর এলাকায় অন্যান্য দিনের মত শিশু কন্যাকে নিয়ে তার মা বাসাবাড়িতে কাজ করতে যান।  এসময় মেয়েটিকে চকোলেট ও মোবাইলে গেমস খেলার লোভ দেখিয়ে স্থানীয় আলাল পাশের বাড়ির নির্জন একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটির মা কান্নার শব্দ শুনে নির্জন ওই ঘরে গেলে ধর্ষক আলাল শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেসে নিয়ে গেলে,কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য  ঢাকা মিটফোর্ড স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় শিশুটিকে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জে কারাবন্দি অবস্থায় অসুস্থ আ.লীগ নেতা, হাসপাতালে মৃত্যু

আমার বাংলা অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ৩:০২ অপরাহ্ণ
মুন্সীগঞ্জে কারাবন্দি অবস্থায় অসুস্থ আ.লীগ নেতা, হাসপাতালে মৃত্যু

মুন্সীগঞ্জে কারাবন্দি অবস্থায় অসুস্থ হওয়া পর সারোয়ার হোসেন নান্নু (৬৫) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা ও হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার ভোর ৪টার দিকে কারাগার থেকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আতাউর গনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নান্নু সদর উপজেলার মিরেশ্বরাই এলাকার রাজ্জাক মোল্লার ছেলে ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গত বছরের ৪ আগস্টে মুন্সীগঞ্জে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় একটি হত্যা মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন।

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, মুমূর্ষু অবস্থায় ওই রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। প্রাথমিকভাবে রোগীর উপসর্গ দেখে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে অনুমান করা গেছে। মরদেহ মর্গে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এদিকে পরিবারের দাবি, নান্নু রাতে অসুস্থ হলেও কারা কর্তৃপক্ষ তাদের জানায়নি। বরং সকালে মৃত্যুর পর তাদের জানানো হয়েছে।

নান্নু ভাতিজা শাহরিয়ার জানান, যেহেতু মৃত্যুর অনেক পরে জানানো হয়েছে, তাই সঠিক কোথায় কীভাবে মারা গেছে; তা নিয়ে সন্দিহান আমরা। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে স্বজনরা।

মুন্সীগঞ্জ কারাগারের জেলসুপার মুহাম্মদ এনায়েত উল্ল্যাহ জানান, বুকের ব্যথার কারণে আজ রোববার ভোর রাত সাড়ে ৩ টায় জেলখানা থেকে হাসাপাতালে নিলে ৪ টার দিকে তিনি মারা যান। অসুস্থের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারকে জানানো সম্ভব হয়নি। কারণ, তখন তার চিকিৎসার জন্যই সবাই ব্যস্ত ছিল।