খুঁজুন
সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫, ৩ ভাদ্র, ১৪৩২

সিরাজদিখানে অবৈধভাবে মাটি কাটায় ঝুঁকিতে স্বপন দাসের বাড়ি

এমএ কাইয়ুম মাইজভাণ্ডারী
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫, ৬:২৭ অপরাহ্ণ
সিরাজদিখানে অবৈধভাবে মাটি কাটায় ঝুঁকিতে স্বপন দাসের বাড়ি

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান  উপজেলার কোলা ইউনিয়নের পূর্ব কোলা এলাকায় অবাধে চলছে মাটি কাটার ধুম। 

গত দুইদিন ধরে মোজাম্মেল নামের ঠিকাদার অবৈধভাবে জোর করে অসহায় স্বপন দাসের বাড়ির মাটি কেটে কালভার্টের এপ্রোজ সড়কের জন্য এই মাটি কাটার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

এখন সেটা হুমকির মুখে। মাটি কেটে নেওয়ায় মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে কোলা ইউনিয়নের ডাঃ মতিলাল দাসের ছেলে স্বপন দাস ও তার পরিবার  । মাটি কেটে নেওয়ায় বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বার,সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করেছে অসহায় স্বপন দাস। তবে ওই অভিযোগে কারো নাম দেওয়া হয়নি।

সরেজমিনে গিয়ে ঘুরে দেখা যায়, সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউনিয়নের পূর্ব কোলা এলাকায় খালের ওপর নির্মিত কালভার্ট সেতুর একপাশে পাশে গা ঘেঁষে স্বপন দাসের পৈত্রিক বাড়ির মাটি কাটা হচ্ছে। ভ্যাকু দিয়ে মাটি কাটার ফলে এতে চরম হুমকির মুখে পড়েছে স্বপন দাসের পৈত্রিক বাড়ি, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে এ বাড়িটি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কালভাটের এপ্রোজ সড়কের জন্য ঠিকাদার জোড় করে বাড়ির পাশ  থেকে মাটি কেটে নিচ্ছেন ঠিকাদার।  উপজেলা প্রশাসন কে দিয়ে কাজ বন্ধ করলেও উপজেলা পিআইও এ বিষয়ে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয় না। পিআইও কোন ফোন রিসিভ করেন না। মাটি কাটা বন্ধ না করলে অতিমাত্রায় বৃষ্টি ও বর্ষায় স্বপন দাসের বাড়ি ভেঙ্গে খালে পরে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে কোলা গ্রামর আজিজ হাওলাদার বলেন,ঠিকাদার জোর করে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এ কালভাটের জন্য এপ্রোজ সড়কের মাটি ভরাটের কোন টাকা বরাদ্দ হয়নি ?  কেন নিরিহ স্বপন দাসের বাড়ির মাটি কেটে এনে কালভাটের এপ্রোচ সড়ক তৈরী হচ্ছে।

স্বপন দাস বলেন,আমরা অসহায় গরীব মানুষ। জোর করে ঠিকাদার কালভাটের সড়কের জন্য আমার বাড়ির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে।। মাটি গভীরতা করে কাটার ফলে আমার ঘড় যেকোনো সময় ধসে যেতে পারে। দ্রুত অবৈধ মাটি কাটা বন্ধে আমি প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে ঠিকাদার বলেন আমি অবৈধভাবে  কোন মাটি কাটিনি আমার কাটা মাটি স্বপন দাসের বাড়ির পাশে রেখে ছিলাম তা কেটে এনেছি মাত্র।

সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা আক্তার বলেন, বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন অবগত রয়েছে। ভ্যাকু দিয়ে মাটি কাটার কাজ বন্ধ করে দেওযা হয়েছে।

শ্রীনগর বিএনপি’র বিজয় রেলি

শ্রীনগর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ৯:৫৬ অপরাহ্ণ
শ্রীনগর বিএনপি’র বিজয় রেলি

জুলাই আগস্ট ২৪ ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ  সরকারের পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগরে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের  উদ্যোগে বিশাল একটি রেলি বের হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে শ্রীনগর কলেজ গেট এলাকা থেকে মুন্সিগঞ্জ ১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী  উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  আলহাজ্ব মমিন আলী নেতৃত্বে রেলিটি বের হয়ে ছনবাড়ি চৌরাস্তা এসে শেষ হয়। রেলিত অংশগ্রহণ করেন, মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সিরাজদিখান  উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক  মোঃ জসিম উদ্দিন, মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক  মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন মোল্লা, সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বান কমিটির
সদস্য সচিব আলী আনসার মোল্লা, শ্রীনগর উপজেলা বিএনপি সাবেক সহ-সভাপতি আমির আলি মৃধা, কফিল বেপারী, মনসুর মাঝি, শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতিন, মনিরুল আলম, আবুল হোসেন তালুকদার, শেখ মোঃ জনি প্রমুখ।

শ্রীনগরে পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষিত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসি ইউনিটে ভর্তি

শ্রীনগর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১২:৩০ পূর্বাহ্ণ
শ্রীনগরে পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষিত  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসি ইউনিটে ভর্তি
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে চকলেট খাওয়ানো লোভ দেখিয়ে পাঁচ বছর এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করেছে আলাল(১৮) নামক এক বখাটে। শিশুটি বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।  বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শ্রীনগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিশুটির মা। মামলায় ফৈনপুর এলাকার ফজল খানের পুত্র বখাটে আলালকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাজমুল হুদা খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আসামি পলাতক থাকায় তাকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে পাটাভোগ ইউনিয়নের ফৈনপুর এলাকায় অন্যান্য দিনের মত শিশু কন্যাকে নিয়ে তার মা বাসাবাড়িতে কাজ করতে যান।  এসময় মেয়েটিকে চকোলেট ও মোবাইলে গেমস খেলার লোভ দেখিয়ে স্থানীয় আলাল পাশের বাড়ির নির্জন একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটির মা কান্নার শব্দ শুনে নির্জন ওই ঘরে গেলে ধর্ষক আলাল শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেসে নিয়ে গেলে,কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য  ঢাকা মিটফোর্ড স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় শিশুটিকে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জে কারাবন্দি অবস্থায় অসুস্থ আ.লীগ নেতা, হাসপাতালে মৃত্যু

আমার বাংলা অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ৩:০২ অপরাহ্ণ
মুন্সীগঞ্জে কারাবন্দি অবস্থায় অসুস্থ আ.লীগ নেতা, হাসপাতালে মৃত্যু

মুন্সীগঞ্জে কারাবন্দি অবস্থায় অসুস্থ হওয়া পর সারোয়ার হোসেন নান্নু (৬৫) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা ও হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার ভোর ৪টার দিকে কারাগার থেকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আতাউর গনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নান্নু সদর উপজেলার মিরেশ্বরাই এলাকার রাজ্জাক মোল্লার ছেলে ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গত বছরের ৪ আগস্টে মুন্সীগঞ্জে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় একটি হত্যা মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন।

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, মুমূর্ষু অবস্থায় ওই রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। প্রাথমিকভাবে রোগীর উপসর্গ দেখে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে অনুমান করা গেছে। মরদেহ মর্গে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এদিকে পরিবারের দাবি, নান্নু রাতে অসুস্থ হলেও কারা কর্তৃপক্ষ তাদের জানায়নি। বরং সকালে মৃত্যুর পর তাদের জানানো হয়েছে।

নান্নু ভাতিজা শাহরিয়ার জানান, যেহেতু মৃত্যুর অনেক পরে জানানো হয়েছে, তাই সঠিক কোথায় কীভাবে মারা গেছে; তা নিয়ে সন্দিহান আমরা। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে স্বজনরা।

মুন্সীগঞ্জ কারাগারের জেলসুপার মুহাম্মদ এনায়েত উল্ল্যাহ জানান, বুকের ব্যথার কারণে আজ রোববার ভোর রাত সাড়ে ৩ টায় জেলখানা থেকে হাসাপাতালে নিলে ৪ টার দিকে তিনি মারা যান। অসুস্থের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারকে জানানো সম্ভব হয়নি। কারণ, তখন তার চিকিৎসার জন্যই সবাই ব্যস্ত ছিল।