খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৪ বৈশাখ, ১৪৩২

বাণিজ্যিকভাবে ‘স্টারলিংক ইন্টারনেট’ চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১:২৭ পূর্বাহ্ণ
বাণিজ্যিকভাবে ‘স্টারলিংক ইন্টারনেট’ চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে চালুর নির্দেশনা দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক বার্তায় এ কথা জানান।

প্রেস সচিব আরও জানান, পরীক্ষামূলক সম্প্রচারে স্টারলিংক তার বিদেশি স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড গেটওয়ে ব্যবহার করলেও বাংলাদেশে বাণিজ্যিক সেবাদানকালে, নন-জিওস্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) নীতিমালা মেনে কোম্পানিটি স্থানীয় ব্রডব্যান্ড গেটওয়ে বা আইআইজি ব্যবহার করবে।

এর আগে গত ২৩ মার্চ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আগামী ৯ এপ্রিল থেকে দেশে স্টারলিংক ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু হবে।

শ্রীনগরে বিধবার বসতভিটির সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ

তাইজুল ইসলাম বিদ্যুৎ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৩:৫৪ অপরাহ্ণ
শ্রীনগরে বিধবার বসতভিটির সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে এক বিধবার বসতভিটির সম্পত্তি জোড় পূর্বক দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার তন্তর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সুফিগঞ্জ এলাকার পারাগাঁও মৌজার শতাংশ বসতভিটির সম্পত্তিদখলের অভিযোগ এলাকার মৃত বারেক শেখের ছেলে নান্টু শেখ ইব্রাহীম শেখের বিরুদ্ধে। এব্যাপারে ভুক্তভোগী মৃত মজিবর শেখেরস্ত্রী রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার পাড়াগাঁও মৌজার সাবেক ৫৭ আরএস ৭২ দাগের শতাংশ বসতভিটির সম্পত্তি ভুক্তভোগীরোকেয়া বেগমের স্বামী মৃত মজিবর শেখ পৈত্রিক ওয়ারিশ সুত্রে মালিক। বিভিন্ন সময়ে সম্পত্তি মৃত মজিবরের সৎ ভাই নান্টু শেখ ইব্রাহীম শেখগং জোড়পূর্বক দখলের পায়তারা করে আসছে। গত কয়েকদিন ধরে নান্টু শেখগং বড় ভাই মৃত মজিবরের স্ত্রী বিধবা রোকেয়াবেগমের সম্পত্তি জোড় পূর্বক দখলের নিয়ে ঘর নির্মাণ করছেন নান্টু শেখ গং।

এব্যাপারে অভিযুক্ত নান্টু শেখের স্ত্রী সিনথিয়া বেগম বলেন, আমার ভাশুর মৃত মজিবর শেখ বরিশালে ব্যবসা করাকালে তার মৃত্যু হয়। সময় ভাশুরের পাওনাদাররা ভাশুরের স্ত্রী রোকেয়া বেগমসহ তার দুই সন্তানকে আটক রাখে। পরে আমার স্বামী চার লক্ষ টাকা ঋণ দিয়েরোকেয়া বেগমদের ছাড়িয়ে আনেন এবং আমার স্বামী কাছে আড়াই শতাংশ জায়গা বিক্রি করার কথা বলে আরো আড়াই লক্ষ টাকা নেনরোকেয়া বেগম। পরবর্তীতে করোনা কালিন সময় রোকেয়া বেগমের ছেলে রাজু বিদেশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দেশে  ফেরত আসার পর পূনরায়রাজুকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে আমার দেবর মজনুর কাছ থেকে আরো দুই লক্ষ টাকা নেয়। পরবর্তীতে রোকেয়া বেগম জমি রেজিস্ট্রি  করে না দিয়ে   আমাদের কাছে নেয়া টাকা ফেরত না দিয়ে জমি অন্যত্র বিক্রি করার পায়তারা করছেন। এজন্য আমরা এখানে ঘরউত্তোলন করছি। সে যখন আমাদের টাকা ফেরত দিবে তখন আমরা তার জায়গা ছেড়ে দিব।

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:১৪ অপরাহ্ণ
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে চলছে জানিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন আগামী জুনের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন এই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশন।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তদন্ত কমিশনের সদস্যরা তাকে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন।

কমিশন প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আলম ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। যেহেতু ১৬ বছর আগের ঘটনা তাই অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গিয়ে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। অভিযুক্ত অনেকেই দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কারাগারে থাকা কয়েকজনের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। তদন্তের জন্য যোগাযোগ করা প্রয়োজন এমন ২৩ জন বিদেশে অবস্থান করছেন। তার মধ্যে ৮ জন সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করেছেন।

কমিশন প্রধান আরও বলেন, ‘আমরা হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের প্যাটার্নটা নিয়ে তদন্ত করছি। ডিজিকে হত্যার পর বাকিদের হত্যা করা হয়েছিল। এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পরিকল্পনা ছাড়া এমন হত্যাকাণ্ড হতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘এটা যেন একটা পলাশীর পুনরাবৃত্তি। এটার শেকড় আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।’

কমিশনের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার বলেন, ‘এমন জঘন্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একজন কর্মকর্তা/কর্মচারীকেও সরানো হয়নি। কাউকে দায়ী করা হয়নি। এটি গোয়েন্দা সংস্থা, সামরিক বাহিনী এবং রাজনৈতিক ব্যর্থতা।’

তদন্ত কমিশনকে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নৃশংসভাবে নিজেদের অফিসারদেরই তারা মেরেছিল। মসৃণভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।’

পুরো জাতি তদন্ত কমিশনের দিকে তাকিয়ে আছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সবাই উত্তর খুঁজছি। কমিশনকে এ ঘটনা তদন্তে সফল হতেই হবে। এ রহস্য উদঘাটন করতেই হবে।’

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশনের সদস্য বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুর রহমান, মুন্সী আলাউদ্দিন আল আজাদ, ড. এম আকবর আলী, মো. শরীফুল ইসলাম, শাহনেওয়াজ খান চন্দন, এ টি কে এম ইকবাল।

সস্ত্রীক সাবেক এমপি ফারুকের ২৮ বিঘা জমি জব্দ, ৪ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:১২ অপরাহ্ণ
সস্ত্রীক সাবেক এমপি ফারুকের ২৮ বিঘা জমি জব্দ, ৪ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে রাজশাহী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ওমর ফারুক চৌধুরী ও তার স্ত্রী নিগার সুলতানা চৌধুরীর ২৮ বিঘা জমি ক্রোক এবং ৬৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করেছেন আদালত। এসব সম্পদ রাজশাহীর তানোর উপজেলায় অবস্থিত।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের দুটি পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

দুদকের পক্ষে সহকারী পরিচালক জিন্নাতুল ইসলাম আবেদনটি করেন।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, ওমর ফারুক চৌধুরীর নামে রয়েছে ১৫.৫ বিঘা জমি ও ৫৭টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৩ কোটি ১০ লাখ ৯৩ হাজার ১১০ টাকা। তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ১৩ বিঘা জমি ও ১১টি ব্যাংক হিসাবে ৬০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৭৫ টাকা। মোট অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ কোটি ১৭ লাখ ৯১ হাজার ৫৭৭ টাকা।

আবেদনে আরও বলা হয়, ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তদন্ত চলছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তিনি দেশে-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন এবং তা বিদেশে পাচারের চেষ্টাও করছেন।

এই কর্মকাণ্ড দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭ ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪, ১০ ও ১৪ ধারার আওতাভুক্ত অপরাধ হিসেবে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। সেইসঙ্গে দুদক বিধিমালা, ২০০৭-এর ১৮ ধারা অনুযায়ী এই সম্পদ জব্দ ও হিসাব ফ্রিজ করাকে অপরিহার্য বলে মনে করছে কমিশন।