খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৪ বৈশাখ, ১৪৩২

নাসার সঙ্গে আর্টেমিস চুক্তি স্বাক্ষর করল বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১:২৩ পূর্বাহ্ণ
নাসার সঙ্গে আর্টেমিস চুক্তি স্বাক্ষর করল বাংলাদেশ

বাংলাদেশ এখন ‘আর্টেমিস অ্যাকর্ডস’-এর ৫৪তম স্বাক্ষরকারী দেশ; যা যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ ও অসামরিক মহাকাশ অনুসন্ধানকে উৎসাহিত করার একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ।

২০২০ সালের অক্টোবরে প্রতিষ্ঠিত আর্টেমিস অ্যাকর্ডস চুক্তিগুলো হলো একটি অ-বান্ধনযোগ্য বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার একটি সিরিজ; যার লক্ষ্য হলো মহাকাশ অনুসন্ধানে শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ ও টেকসই সহযোগিতা।আজ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের উপস্থিতিতে প্রতিরক্ষা সচিব মো. আশরাফ উদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ বৈশ্বিক মহাকাশ গবেষণা, মহাকাশ ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং মহাকাশ সম্পদের দায়িত্বশীল ব্যবহারে নিজেকে সম্পৃক্ত করল; যা দেশের জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।চৌধুরী আশিক বলেন, ‘এই স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মহাকাশ গবেষণায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ তার মহাকাশ গবেষণা কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে পারবে।’

প্রতিরক্ষা সচিব আশরাফ উদ্দিন বলেন, আর্টেমিস অ্যাকর্ডস মূলত আউটার স্পেস ট্রিটি রেজিস্ট্রেশন কনভেনশন এবং অ্যাস্ট্রোনট রেসকিউ এগ্রিমেন্টের নীতিগুলো অনুসরণ করে তৈরি একটি নির্দেশিকা; যা মহাকাশের শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও টেকসই ব্যবহারে সহায়ক।
তিনি বলেন, ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ স্পারসো গঠন করে মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে উৎসাহিত করতে কাজ শুরু করে এবং তখন থেকেই আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন মেনে চলেছে।

তিনি আরও বলেন, আর্টেমিস চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো মহাকাশে স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল কার্যক্রম পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দেয়।
২০২৫ সালের ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত আর্টেমিস চুক্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া ও বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশ, লাতিন আমেরিকানসহ ৫৩টি দেশ স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশ এই চুক্তিতে যুক্ত হয়ে একটি সম্মানজনক আন্তর্জাতিক মহাকাশ জোটের অংশ হলো।

আশরাফ উদ্দিন বলেন, এই চুক্তি প্রযুক্তি স্থানান্তর, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার নতুন দরজা খুলে দেবে।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে নাসা ও স্পারসোর মধ্যে সহযোগিতার সুযোগ তৈরি হবে এবং বাংলাদেশের মহাকাশ কার্যক্রম জোরদার হবে।
তিনি যোগ করেন, নাসা ও অন্যান্য মহাকাশ সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করলে বাংলাদেশ উন্নত স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রবেশাধিকার পাবে, যা বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট প্রোগ্রাম ও ভবিষ্যৎ মহাকাশ উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।

এছাড়া বাংলাদেশের স্পারসোর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো পৃথিবী পর্যবেক্ষণ ও জলবায়ু মনিটরিং স্যাটেলাইট তৈরি করতে প্রযুক্তিগত সহায়তা পেতে পারে; যা বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়ক হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজ্ঞানীরা বৈশ্বিক মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ গবেষণায় অংশগ্রহণ করতে পারবে; আর শিক্ষার্থীরা নাসার প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম; বৃত্তি ও এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম থেকে উপকৃত হতে পারবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা উইংয়ের মহাপরিচালক ও চিফ অব প্রোটোকল এএফএম জাহিদ-উল-ইসলাম এবং বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন সংস্থার (স্পারসো) চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল ইসলাম।

শ্রীনগরে বিধবার বসতভিটির সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ

তাইজুল ইসলাম বিদ্যুৎ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৩:৫৪ অপরাহ্ণ
শ্রীনগরে বিধবার বসতভিটির সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে এক বিধবার বসতভিটির সম্পত্তি জোড় পূর্বক দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার তন্তর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সুফিগঞ্জ এলাকার পারাগাঁও মৌজার শতাংশ বসতভিটির সম্পত্তিদখলের অভিযোগ এলাকার মৃত বারেক শেখের ছেলে নান্টু শেখ ইব্রাহীম শেখের বিরুদ্ধে। এব্যাপারে ভুক্তভোগী মৃত মজিবর শেখেরস্ত্রী রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার পাড়াগাঁও মৌজার সাবেক ৫৭ আরএস ৭২ দাগের শতাংশ বসতভিটির সম্পত্তি ভুক্তভোগীরোকেয়া বেগমের স্বামী মৃত মজিবর শেখ পৈত্রিক ওয়ারিশ সুত্রে মালিক। বিভিন্ন সময়ে সম্পত্তি মৃত মজিবরের সৎ ভাই নান্টু শেখ ইব্রাহীম শেখগং জোড়পূর্বক দখলের পায়তারা করে আসছে। গত কয়েকদিন ধরে নান্টু শেখগং বড় ভাই মৃত মজিবরের স্ত্রী বিধবা রোকেয়াবেগমের সম্পত্তি জোড় পূর্বক দখলের নিয়ে ঘর নির্মাণ করছেন নান্টু শেখ গং।

এব্যাপারে অভিযুক্ত নান্টু শেখের স্ত্রী সিনথিয়া বেগম বলেন, আমার ভাশুর মৃত মজিবর শেখ বরিশালে ব্যবসা করাকালে তার মৃত্যু হয়। সময় ভাশুরের পাওনাদাররা ভাশুরের স্ত্রী রোকেয়া বেগমসহ তার দুই সন্তানকে আটক রাখে। পরে আমার স্বামী চার লক্ষ টাকা ঋণ দিয়েরোকেয়া বেগমদের ছাড়িয়ে আনেন এবং আমার স্বামী কাছে আড়াই শতাংশ জায়গা বিক্রি করার কথা বলে আরো আড়াই লক্ষ টাকা নেনরোকেয়া বেগম। পরবর্তীতে করোনা কালিন সময় রোকেয়া বেগমের ছেলে রাজু বিদেশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দেশে  ফেরত আসার পর পূনরায়রাজুকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে আমার দেবর মজনুর কাছ থেকে আরো দুই লক্ষ টাকা নেয়। পরবর্তীতে রোকেয়া বেগম জমি রেজিস্ট্রি  করে না দিয়ে   আমাদের কাছে নেয়া টাকা ফেরত না দিয়ে জমি অন্যত্র বিক্রি করার পায়তারা করছেন। এজন্য আমরা এখানে ঘরউত্তোলন করছি। সে যখন আমাদের টাকা ফেরত দিবে তখন আমরা তার জায়গা ছেড়ে দিব।

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:১৪ অপরাহ্ণ
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে চলছে জানিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন আগামী জুনের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন এই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশন।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তদন্ত কমিশনের সদস্যরা তাকে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন।

কমিশন প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আলম ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। যেহেতু ১৬ বছর আগের ঘটনা তাই অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গিয়ে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। অভিযুক্ত অনেকেই দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কারাগারে থাকা কয়েকজনের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। তদন্তের জন্য যোগাযোগ করা প্রয়োজন এমন ২৩ জন বিদেশে অবস্থান করছেন। তার মধ্যে ৮ জন সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করেছেন।

কমিশন প্রধান আরও বলেন, ‘আমরা হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের প্যাটার্নটা নিয়ে তদন্ত করছি। ডিজিকে হত্যার পর বাকিদের হত্যা করা হয়েছিল। এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পরিকল্পনা ছাড়া এমন হত্যাকাণ্ড হতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘এটা যেন একটা পলাশীর পুনরাবৃত্তি। এটার শেকড় আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।’

কমিশনের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার বলেন, ‘এমন জঘন্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একজন কর্মকর্তা/কর্মচারীকেও সরানো হয়নি। কাউকে দায়ী করা হয়নি। এটি গোয়েন্দা সংস্থা, সামরিক বাহিনী এবং রাজনৈতিক ব্যর্থতা।’

তদন্ত কমিশনকে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নৃশংসভাবে নিজেদের অফিসারদেরই তারা মেরেছিল। মসৃণভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।’

পুরো জাতি তদন্ত কমিশনের দিকে তাকিয়ে আছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সবাই উত্তর খুঁজছি। কমিশনকে এ ঘটনা তদন্তে সফল হতেই হবে। এ রহস্য উদঘাটন করতেই হবে।’

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশনের সদস্য বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুর রহমান, মুন্সী আলাউদ্দিন আল আজাদ, ড. এম আকবর আলী, মো. শরীফুল ইসলাম, শাহনেওয়াজ খান চন্দন, এ টি কে এম ইকবাল।

সস্ত্রীক সাবেক এমপি ফারুকের ২৮ বিঘা জমি জব্দ, ৪ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:১২ অপরাহ্ণ
সস্ত্রীক সাবেক এমপি ফারুকের ২৮ বিঘা জমি জব্দ, ৪ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে রাজশাহী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ওমর ফারুক চৌধুরী ও তার স্ত্রী নিগার সুলতানা চৌধুরীর ২৮ বিঘা জমি ক্রোক এবং ৬৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করেছেন আদালত। এসব সম্পদ রাজশাহীর তানোর উপজেলায় অবস্থিত।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের দুটি পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

দুদকের পক্ষে সহকারী পরিচালক জিন্নাতুল ইসলাম আবেদনটি করেন।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, ওমর ফারুক চৌধুরীর নামে রয়েছে ১৫.৫ বিঘা জমি ও ৫৭টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৩ কোটি ১০ লাখ ৯৩ হাজার ১১০ টাকা। তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ১৩ বিঘা জমি ও ১১টি ব্যাংক হিসাবে ৬০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৭৫ টাকা। মোট অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ কোটি ১৭ লাখ ৯১ হাজার ৫৭৭ টাকা।

আবেদনে আরও বলা হয়, ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তদন্ত চলছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তিনি দেশে-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন এবং তা বিদেশে পাচারের চেষ্টাও করছেন।

এই কর্মকাণ্ড দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭ ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪, ১০ ও ১৪ ধারার আওতাভুক্ত অপরাধ হিসেবে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। সেইসঙ্গে দুদক বিধিমালা, ২০০৭-এর ১৮ ধারা অনুযায়ী এই সম্পদ জব্দ ও হিসাব ফ্রিজ করাকে অপরিহার্য বলে মনে করছে কমিশন।