খুঁজুন
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬ বৈশাখ, ১৪৩২

ইউনূস সরকারের মেয়াদ ৫ বছর বৃদ্ধির দাবিতে ‘আমরণ অনশন’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:০৬ অপরাহ্ণ
ইউনূস সরকারের মেয়াদ ৫ বছর বৃদ্ধির দাবিতে ‘আমরণ অনশন’
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কার্যত তিন দিন দেশ সরকারশূন্য ছিল। গত ৮ আগস্ট তিনিসহ ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ জন শপথ নেন। 
সম্প্রতি বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ড. ইউনূস সরকারের ন্যূনতম পাঁচ বছর মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি উঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘মার্চ ফর ইউনূস স্যার’ ব্যানারে একদল যুবককে অনশন করতে দেখা যায়।
সরেজমিন দেখা যায়, ড. ইউনূস সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর করা জন্য রাজু ভাস্কর্যের সামনে অনশন শুরু করেছেন একদল যুবক। প্রয়োজনে তারা আমরণ অনশন শুরু করবেন। তাদের মাথার উপরে আরও একটি ব্যানার দেখা যায়। সেই ব্যানারের শিরোনামে উল্লেখ রয়েছে- আগে সংস্কার পরে নির্বাচন; আগে জনতা পরে ক্ষমতা।
তার নিচেই লেখা রয়েছে- অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নূন্যতম ৫ বছর মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য প্রাথমিক অবস্থান পরে চূড়ান্ত আমরণ অনশন। সেখানে তাদের পাঁচটি দাবির কথা উল্লেখ করা রয়েছে।
দাবিগুলো হলো-
১. অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলেই ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যাকারীদের বিচার শেষ করতে হবে।
২. নূন্যতম আগামী পাঁচ বছর রাষ্ট্র সংস্কার চলবে তারপর নির্বাচন।
৩. আগে স্থানীয় সরকার পরে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।
৪. প্রশাসনের মধ্যে যেখানে ফ্যাসিসদের দোসর রয়েছে তাদের দ্রুত অপসারণ করতে হবে এবং যোগ্য লোক বসাতে হবে।
৫. নির্বচানে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নূন্যতম স্নাতক হতে হবে।
অনশনে অংশগ্রহণকারী এক যুবক বলেন, আমরা ড. ইউনূস স্যারকে আগামী পাঁচ বছর চাই। কারণ তার পাঁচ বছরের মধ্যে রাষ্ট্রের সব সংস্কার শেষ হোক। উনি ছাড়ার সংস্কার সম্ভব না। আমাদের যে রাজনৈতিক দলেগুলো রয়েছে তারা জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। তাছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অনেক তাজা প্রাণ হারিয়েছি। এসবের বিচার ড. ইউনূস ছাড়া সম্ভব না।
নির্বচানে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে আরেক যুবক বলেন, যারা নির্বাচনে অংশ নেন তাদের অধিকাংশ নিজের নাম লিখতে পারেন না। তারা ক্ষমতার জুড়ে এমপি হয়ে যান। শিক্ষিত নির্বাচিত প্রতিনিধি দেশ ও জাতির উন্নয়নে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখতে পারবেন।

রাজধানীর বাজারে ৮০ টাকার নিচে মিলছে না সবজি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:০২ অপরাহ্ণ
রাজধানীর বাজারে ৮০ টাকার নিচে মিলছে না সবজি
রমজানের ঈদের পর রাজধানীর বাজারে কিছুদিন ধরে সবধরনের সবজির দাম বেড়ে গেছে। গেল রমজান মাস জুড়ে সবজির দাম সবচেয়ে কম থাকায় ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে কিনতে পেরেছেন। তবে ঈদের পর থেকে বাজারে সবজির দাম বাড়তি যাচ্ছে। 
বলতে গেলে বাজারে এখন সব সবজির দাম বাড়তি। সবচেয়ে দামি সবজির তালিকায় আছে কাঁকরোল, যার প্রতি কেজি ১৪০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি গোল বেগুনও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে, পাশাপাশি লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা।
আজ শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির এমন বাড়তি দামের চিত্র দেখা গেছে। বাজারে ৬০ থেকে ৮০ টাকার নিচে তেমন কোনো সবজিই নেই।
আজকের বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, মুলা ৬০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ১৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, উচ্ছে  ৮০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতিকেজি ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৭০টাকায়, ধুন্দুল ১০০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, বেগুন (গোল) ১০০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ৮০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, কচুর লতি  ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, জালি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
হাতিরপুল বাজারে আসা এক ক্রেতা বলেন, আজ বাজারে দেখলাম সবজির বাজার খুব চড়া। এত দাম দিয়ে সবজি তো সাধারণ মানুষ কিনে খেতে পারে না। এজন্য দরকার সরকারি মনিটরিং ব্যবস্থা, কি কারণে সবজির দাম বাড়ছে, কারা বাড়াচ্ছে এসব বিষয় তদারকি করা খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। নয়তো যে যার মত করে সবজির দাম বাড়িয়ে রাখছে। বাজারে দেখলাম সবচেয়ে বেশি দামি সবজি হচ্ছে কাঁকরোল আর বেগুন। এগুলো ১৪০/১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাকি সবজিগুলোর দামও ৭০ থেকে ৮০ টাকার ঘরে।
চানখারপুল বাজারে আরেক ক্রেতা বলেন, বাজারে সবজির দাম বাড়তি। বিশেষ করে ঈদের পর থেকে প্রতিদিনই সবজির দাম বেড়েই চলছে। এখানে ৭০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। আর অন্যান্য সবজির দাম তো সেঞ্চুরি পেরিয়েছে। এত দামি সবজি আমাদের মতো সাধারণ করে তাদের কিনে খাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাজধানীর উত্তর বাড্ডার এক সবজি বিক্রেতা বলেন, বাজারে এখন সবজির সরবরাহ কম। মূলত মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে এসব সবজি বাজারে সরবরাহ কম, সে কারণেই দাম বাড়তি যাচ্ছে। শীতের সবজি শেষ হয়ে যাওয়ার পর বাজারে আস্তে আস্তে দাম বাড়তে থাকে।
বাজারে সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে চাল। মজুত পর্যাপ্ত থাকার পরও মিনিকেট চালের কেজি ৯০, আর মোটা চালের জন্য গুনতে হচ্ছে ৬০ টাকার বেশি।
বেগুন, করলা, কাঁচামরিচের কেজি পাইকারি বাজারেই ৮০ টাকার বেশি। সস্তার পেঁপের দামও ৬০ টাকা কেজি। পেঁয়াজের দামও মাত্রাহীন, কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকায়। তবে দাম বাড়ানোর প্রশ্নে কোনো সদুত্তর নেই বিক্রেতাদের কাছে।

শ্রীনগরের ছনবাড়ীতে প্রকাশ্যে চাদাঁবাজি

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:২৮ অপরাহ্ণ
শ্রীনগরের ছনবাড়ীতে প্রকাশ্যে চাদাঁবাজি

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ছনবাড়ী চৌরাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতিতেই প্রকাশ্যে চলছে চাঁদাবাজি। দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র প্রকাশ্য যানবাহন থেকে টাকা আদায় করে যাচ্ছে। পুলিশ যেন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ছনবাড়ী চৌরাস্তায় প্রতিদিন শতাধিক গাড়ি চলাচল করে। সেই সুযোগেই একদল চাঁদাবাজ সেখান থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে। ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতিতেই এই ঘটনা ঘটে চলেছে। ক্যামেরা বা সংবাদকর্মীর উপস্থিতি টের পেলে চক্রটি দ্রুত ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ এসব দেখেও না দেখার ভান করছে। কোন অদৃশ্য সমঝোতার কারণে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে?

এ বিষয়ে শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাকিল আহমেদ (বিপিএম) বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমার জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখব এবং আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

শ্রীনগরে বাঘড়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে জন সমাবেশ

এমএ কাইয়ুম মাইজভাণ্ডারী
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:১১ অপরাহ্ণ
শ্রীনগরে বাঘড়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে জন সমাবেশ

শুক্রবার(১৮ এপ্রিল) বিকেলে শ্রীনগর দোহার সংলগ্ন  কাদিরের দোকান লিটল  ষ্টার কিন্ডারগার্টেন স্কুল প্রাঙ্গনে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ মানিকের  সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর  সঞ্চালনায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির ১ নং সদস্য ও সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ বলেন , সরকারের কাছে আমাদের দাবী আপনারা বলেছেন আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন। ঘোষিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে  আপনাদের কথা রাখুন। আগামীতে বাংলার মানুষ যদি বিএন পি কে ভোট দেয় তাহলে  আবার এ দেশের  মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে। যুবকদের চাকরি হবে ।

 প্রধান বক্তা হিসেবে মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির আরেক সদস্য  মোঃ শহিদুল ইসলাম মৃধা বলেন, মুন্সীগঞ্জ ১- আসনের জন্য তারেক রহমান যেহেতু আবদুল্লাহ ভাই কে পাঠিয়েছেন , তাই সিদ্ধান্ত  একটাই -তা হলো তারেক রহমান । বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ,  মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল বাতেন খান শামীম , উপজেলা বি এন পির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিক মোল্লা।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক মোড়ল , শহিদুল ইসলাম কারাল , আযম খান , মোঃ আলী খান সাগর, নুর ইসলাম বেপারী,যুবদলের আহবায়ক জয়নাল আবেদীন মৃধা জেমস, সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ মামুন, ফয়সাল আহাম্মদ রনি,  এমদাদুল ইসলাম রজিন, আশরাফুল ইসলাম শুভ, যুবদল যুগ্মসম্পাদক শেখ মোঃ মাসুদ ,  কৃষকদল সভাপতি শাহালম , ও বাঘড়া ইউনিয়ন বি এন পির সহসভাপতি জাকির হোসেন প্রমুখ।